পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] ঢাকার বস্ত্রব্যবসায় গত ফাল্গুন মাসের প্রবাসীতে শিল্পসমিতির প্রবন্ধাবলীর মধ্যে তুলার চাষের প্রসঙ্গে ঢাকার ভূতপূৰ্ব্ব এক রেসিডেন্টের ঢাকার বস্ত্রব্যবসায় সম্বন্ধে এক পুস্তকের উল্লেখ ছিল । ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির আমলে ঢাকার বস্ত্রব্যবসায় কিরূপ ছিল এই পুস্তকে তাহার বিশদ বিবরণ আছে। আমরা সংক্ষেপে সেই পুস্তকের সার সঙ্কলন করিয়া পাঠকগণকে অবগত করাইতে চেষ্টা করিব । 聆 শিল্পস্থান । প্রাচ্য দেশের মধ্যে ভারত বস্ত্রশিল্পের প্রাচীনতম স্থান এবং এখান হষ্টতেই এই শিল্প পারস্য ও মিশরের মধ্য দিয়া যুরোপে নীত হয়। সমগ্র ভারতেই কাপাস শিল্পের প্রসার ও প্রচলন ছিল ; কিন্তু তন্মধ্যে বাংলাতেই এই শিল্পের পূর্ণ সৌষ্ঠব ও পরিণতি হইয়াছিল এবং বাংলার মধ্যে ঢাকা সৰ্ব্ব প্রধান । বাংলার বস্ত্র সম্বন্ধে ষ্ট, বেন্স নামক একজন ইংরাজ লেখক ব্রিটেনের কাপাসশিল্পের ইতিহাস নামক পুস্তকে লিথিয়াছেন যে বাংলার কোন কোন বস্ত্র এমন সুক্ষ যে মনে হয় ইহা কোন পরী বা পতঙ্গ কীটের বয়ন, মানুষের হস্তজাত নহে। এই প্রদেশের মসলিন খ্ৰীষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে বিখ্যাত হইয়াছিল । ঢাকা জেলার মধ্যে ঢাকা, সোণারগ, ডুমরোর, ততবাদী, জঙ্গলবাড়ী, বাজিতপুর, কাপাসিয়া প্রভৃতি স্থান কাপাস শিল্পের আড়ং ছিল । ঢাকার বস্ত্রশিল্পের খ্যাতি প্রসিদ্ধ পর্যটক টেভার্নিয়ের ভ্রমণকাহিনীতে লিপিবদ্ধ দেখা যায়। এই ব্যবসায়ে আকৃষ্ট হইয়া চার্কায় সৰ্ব্ব দেশের লোক সমবেত হইয়া ভিন্ন ভিন্ন কুঠি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল। তন্মধ্যে পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, ইংরাজ, ফরাসী ও আম্মানী প্রধান। ১৮৫০ সালে ঢাকার তত্তবায় সংখ্য ছিল ৭৫০ ঘর। সোণারগাকে লোকে সচরাচর পৈনাম বলে । ইহা বিক্রমপুরের অন্তর্গত। বিক্রমপুর প্রকৃত বঙ্গদেশের রাজধানী ছিল। শের সাহের সময়ের কবর, মসজিদ পুষ্করিণী প্রভৃতি সোণারগায় দেখা যায়। এখানকার অধিবাসী প্রধানত মুসলমান। ষোড়শ শতাব্দীতে আবুল ফজল ও ঢাকার বস্ত্রব্যবসায় । 锅 " میلادیهه**sه=به***ی.ي٠ه*مد.,. هA۶ې ي, %SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAهمه مامه-ههه سی ** ه- هرچه همه - چه هایی.sه*ههs .sه"a.as٣ه*""همهه**"هها وسهه*"assهه*ه---حیه -- به دادههای به همین دهه *۳ ماهه *به بیمچه "مه دهه ۶۰ به ره ኟጳ > র্যালফ ফিচ সোনারগায়ের স্বক্ষবস্ত্রের প্রশংসা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন । সুন্ম মসলিন ও ফুলদার কাপড়ের জন্য এই সহর প্রসিদ্ধ ছিল। ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলে এখানে তাহাদের বাণিজ্যকুঠি ছিল এবং তাহাদের খাতায় ১৩১৪ শত তাতির নাম লিখিত ছিল । এক্ষণে ( ১৮৫০ সালে ) তাতির সংখ্যা ৩০০ ঘর । ডুমরোয় সাভারের নিকটে, বংশী নদীর তীরে। ইহা এই প্রদেশের প্রাচীনতম শিল্পস্থান। অধিবাসী প্রধানতঃ হিন্দু। এখানে বস্ত্র অপেক্ষ সুহ্ম বস্ত্রের উপযোগী সুস্বল্প সূত্র অধিক উৎপন্ন হয় । তাতির সংখ্যা ৪০০ ঘর । তীতবাদী লক্ষীয়া নদীর তীরে, কাপাসিয়ার নিকটে । উত্তম তুলা এই প্রদেশে উৎপন্ন হয় ; সেই জন্য এই প্রদেশের নামই হইয়াছে কাপাসিয়া। স্বল্প মসলিনও খুব ভালো হয়। র্তাতির সংখ্যা ২০০ ঘর । জঙ্গলবাড়ী ব্ৰহ্মপুত্রের পূৰ্ব্বধারে। পূৰ্ব্বে ঢাকার অন্তর্গত ছিল ; এক্ষণে ময়মনসিংহের অন্তর্গত। এককালে সমৃদ্ধ শিল্পসহর ছিল কিন্তু এক্ষণে র্তাতির সংখ্যা মোটে ১০০ ঘর । সিরাজ-উদ্দৌলার সময় ৭০০ ঘর তাতি রাজকন্মচারীদিগের উৎপাত অত্যাচারে এই সহর ছাড়িয়া অন্তক্ৰ চলিয়া যায়(Bolts' Considerations on Indian Affairs, p. 194) বাজিতপুর এক্ষণে ময়মনসিংহের অন্তর্গত হইয়াছে। এই প্রদেশের উৎপন্ন তুলা অত্যুত্তম এবং ঢাকার স্বল্পতম মসলিন এখানেই প্রস্তুত হইত। মুরাপাড়া, বালিয়াপাড় এবং লক্ষীয় নদীতীরবর্তী আরো কয়েকখানি গ্রামেও কয়েক প্রকারের মসলিন প্রস্তুত হইত। বিক্রমপুরের অন্তর্গত আবদুল্লাপুরে রেশম তুলায় মিশ্রিত একপ্রকার বস্ত্র প্রস্তুত হইত। কালোকোপা, জেলালপুর (ঢাকা), এবং ত্রিপুরার অন্তর্গত নারায়ণপুর, চাদপুর ও. শ্রীরামপুরে মোট কাপড় উৎপন্ন হয় । শেষোক্ত তিন স্থান ব্যবসায়ের প্রধান আড়ং ছিল। ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কুঠি হইতে মোটা কাপড় ও ছিট যুরোপে প্রচুর রপ্তানি হইত। তুলা । ঢাকার মসলিনের জন্ত তুলা সেই প্রদেশেই উৎপন্ন হইত। এই তুলার গাছ বাংলার সাধারণ তুলা হইতে কিছু fassà (2Rto fool (See Roxburgh's Flora