পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] . হইয়াছিল। ডাক্তার কুক টেলার বলিয়াছেন যে অণুবীক্ষণের সাহায্য ব্যতীত এই সকল স্থতার অসমতা ও বন্ধুরতা পরিলক্ষিত হয় না ; হিন্দু রমণীর স্পর্শামুভাবকতা এত স্বক্ষ। একজন বয়নকারিণী প্রত্যহ প্রাতঃকালে সুতা কাটিলে মাসে এক তোলা স্থত কাটিতে পারে। এই চরম পরিমাণ । মুম্বক্ষ স্বত্রের এক তোলার দাম ৮ টাকা মাত্র । মোট ‘ভোগ তুলার সুত চরকায় কাটা হয় । এষ্ট তুলী ধুনুরীর পিজিয়া ধুনিয়া দেয়। - বয়ন | মসলিন বয়নের কয়েকটি ক্রম, যথা :-সুতার পাষ্টট ও স্বতা গুটান, টান খাটান, টানায় নলী পরান বা সান দেওয়াও বয়ন। স্থত প্রথমে নলীতে জড়ান থাকে বা ফেটির আকারে থাকে। সেই সুতার নলী বা ফেটি জলে ভিঞ্জাইয় দেয় । তার পরে একটা কাঠি নলীর মধ্যে পরায়, কাঠিটা এমন হওয়া চাই যেন নলীটা তাহার উপর ঘুরিতে পারে ; একটা বঁাশের বাখার অৰ্দ্ধেক চিরিয়া ফাক করিয়া তাহার মধ্যে কাঠশুদ্ধ নলী আটকাইয়া বা পায়ের বুড়া আঙুলের ফঁসে চাপিয়া ধরিয়া নাটাইয়ে সুতা জড়াইয়া লয় ; নাটাই একটা নারিকেল মালার উপর রাখিয়া ডান হাতে পাক দেয়, বঁ হাতে নলী হইতে স্বর্তী খুলিয়া লয়। টানার স্থতা তিন দিন জলে ভিজান থাকে ; প্রত্যহ হুইবার জল বদল করা হয়। চতুর্থ দিনে স্থতার ফেটি জড়াইয় তাহার মধ্যে দুইটা লাঠি দিয়া জোরে মোড়া দিয়া রৌদ্রে শুকাইতে দেওয়া হয়। তার পরে রান্নার হাড়ির তলার ভূষাকালী মিশ্রিত জলে মোড় খুলিয়া স্থত ডুবাইয়া দুই দিন রাখিয়া দেওয়া হয়, তারপর জল নিড়াইয়া কাঠিতে টাঙাইয়া ছায়ায় শুকাইতে দেয় । আবার শুকাইলে এক রাত্রি জলে ভিজাইয়া রাখে। তৎপর দিন একটা পিড়ির উপর স্বত খুলিয়া থৈয়ের মাড়ের সঙ্গে ওঁড়া চুণ মিশাইয়া স্বতীয় মাথান হয়। মনুর সময় হইতে স্বতীয় ধানের মাড় দেওয়া ভারতে প্রচলিত দেখা যায়। তার পরে নাটাইয়ে জড়াইয়া জড়াইয়া রৌদ্রে দেয় । তৎপরে স্থতার শ্রেণী বিভাগ করে ; অতি স্বল্প স্থত টানার ডাহিন দিকে, তার চেয়ে একটু মোটা ৰাম দিকে, তার চেয়ে মোটা মধ্য স্থলে ঢাকার বস্ত্রব্যবসায় । २१७ দেওয়া হয়। এই হইল সাদা মসলিনের টানা । ভুরে মসলিনের জন্য তুই খেই স্থত একত্র পাকাইয়া একটা ভুরের টানা করে ; এবং চারখানা মসলিনে চার থেই একত্র পাকায় । পোড়েন বা ভরণীর স্থত। আগে প্রস্তুত করে না । বয়ন আরম্ভের দুদিন আগে প্রস্তুত করে । এক দিনের কাজ চলে এতখানি স্থত৷ ২৪ ঘণ্টা জলে ভিঞ্জাইয়া রাখে। পরদিন জল শুকাইয়া মাড় দিয়া লয়। যতদিন না কাপড় বোনা শেষ হয় ততদিন রোজকার স্থত রোজ প্রস্তুত করিতে থাকে। টানার স্থান র্তাতির গৃহের সন্নিহিত কোন গাছতলায় ফাক জায়গা। ৪টা খুটা পুতে, খুটার মধ্যে মধ্যে দুটা দুটা করিয়া শরকাঠি পুতে। তাতি দুই হাতে দুইটা স্থতার নাটাই লইয়া সেই খোটা ও কাঠির গায়ে জড়াইয়া জড়াইয়া দেয়। তার পরে সানা পরায়। একটা বেতের এক মুখ cথতে করিয়া সেই কুচি দ্বার স্থতার জোট ছাড়াইয়া দেয় (ইহাকে ‘বাড়নি’ বলে ) এবং ‘জোয়া’ নামক ধনুকাকৃতি বেত দিয়া স্থত গুলিকে সমান্তরাল করিয়া দেয়। তৎপরে একটা দাণ্ডার গায়ে সেই স্থতার টানা জড়াইয়া গৃহে আনে, তাত তাতির গৃহমধ্যেই থাকে। চার কোণে চার খুঁটি পেতে থাকে, খুটির উপর লম্বালম্বিভাবে দুইটা বাশ বাধা থাকে, তাহার উপরে তাতের ‘দাণ্ডাদড়ি’ আশ্রিত থাকে। মাকু সুপারীকাঠে প্রস্তুত হয়, দুই কোণে লোহ বাধান থাকে। মাকুর মধ্যে ছিদ্র থাকে, সেইখানে স্থতার নলী পরান হয়, এবং নলীর স্থত মাকুরুকোণের এক ছিদ্রের মধ্য দিয়া খুলিয়া খুলিয়া বাহির হইয়া যায়। টানার স্থতার মধ্য দিয়া মাকু একদিক হইতে অপরদিকে যাতায়াত করিতে. থাকে ও নলীর স্থত খুলিয়া ভরণা ধয়ন করে। ভারতের হিন্দু তত্ত্ববায়দিগের মাকু চালাইবার অসাধারণ ক্ষমতা। প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক অৰ্ম্মে বলেন, যে যন্ত্র লইয়। হিন্দু তাতি মুস্তক্ষ মসলিন বয়ন করে, সেই যন্ত্রে য়ুরোপীয় তাতির অনমনীয় মোটা আঙুল মোট ক্যাম্বিশ গড় বুনতে পারে কি না সন্দেহ। বয়নের সময় ঘর্ষণ অতিক্রম করিবার জন্ত । মাকু, নলী প্রভৃতিতে তৈল মাথাইয়া দেয় এবং একটা নল