পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

***********sه ৫ম সংখ্যা । ] (*) সরবর্তী-সরবর্তের মত পাতল বা । শত্ব-বুটি-শিরোবেষ্টন, পাগড়ীর কাপড়। (১৫) কামিজ—জামার কাপড় । জািরর কাজ করা পোষাক পরিয়া তাহার উপর এই কাপড়ের ‘জামা’ (কুঞ্চিত, স্তর বিন্যস্ত আগুম্ফ লম্বিত এক প্রকার পরিচ্ছদ) পরিলে জরি সাটিনের জলুষ সাদা কাপড়ের স্বক্ষ-স্তর ভেদ করিয়া বাহির হইত –যেন বাষ্পভরা বায়ুস্তরের মধ্য দিয়া নক্ষত্র দ্যুতির চমকানিটুকু, আধো গুপ্ত আধো ব্যক্ত । | f{;nي (ند) (**) চারপান । (১৮) জামদানি-লতা পাতা ফুলকাটা কাপড় । সম্রাট ঔরজেবের জন্য ২৫০ টাকায় ১ থান জামদানি তৈয়ারি হইত। ঢাকার নায়েব নাজিম মহম্মদ রেজা খার জন্ত ফি থান ৪৫০ টাকা করিয়া পড়িত। বাইবেল উল্লিখিত (Ezekiel xvi, ro, ) মেশি staze da Cat“ za arifera (See Harris's Natural Ilistory of the Bible.) selfs stastral statsä এই বস্ত্র প্যালেষ্টাইনে নীত হইত ইহার প্রমাণ বাইবেলে ভূরি ভুরি পাওয়া যায়। (Exodus 34, 24, 23) । খৃষ্টের জন্মের বহু পূৰ্ব্বে ভারত বিদেশকে বস্ত্র সরবরাহ করিত। অধ্যাপক উইলসন তাহার ঋগ্বেদ সংহিতার ভূমিকায় লিখিয়াছেন যে ভারতীগণ শিল্পকুশলী সমুদ্রযাত্রিক ব্যবসায়ী জাতি ছিল। হায়, সে দিন আমাদের কেন গেল, আবার কবেই বা ফিরিয়া আসিবে ! ঢাকার কাপড়ের খ্যাতি রোমক দার্শনিকদিগের রচনায় ও জুভেনালের বঙ্গকবিতার মধ্যে দেখা যায়। প্রাচীনের এই বস্তুকে, হাওয়ার *f*fg' (ventus textilis) • f<Ji দিয়াছিলেন। ঢাকার মসলিন গজ কতক ফু দিয়া উড়াইয়৷ দেওয়া যায় বলিয়া এই নাম হইয়াছিল না হাওয়ার মত অদৃপ্ত বলিয়া ? এরিয়ানের পুস্তকেও ইহার উল্লেখ দেখা যায়। এরিয়ান মিশরবাসী গ্ৰীক, খৃষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর লোক। তুলাকে প্রাচীন লাটিন লেখকগণ লিতেন ‘কার্বাসস, হিব্রু "কার্পাস, পারস্ত ‘কার্বাস, সংস্কৃত "কাপাস’ । দুইজন মুসলমান পরিব্রাজক বঙ্গীয় বস্ত্রের খ্যাতি লিপি ঢাকার বস্ত্রব্যবসায় । S AASAASAASAAeSAeSجهه دهه۰ «مم.هه-"ه «مهه *مه ASA SSASASA SAASAASAASAASAASA SAASAASAASAASAAAS ૨૧૬ বদ্ধ করিয়া গিয়াছেন (নবম শতাব্দী)। নবম হইতে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে ইহার কোন উল্লেখ আর দেখা যায় না। ১৫৮৬ সালে ইংরাজ পৰ্য্যটক র্যালফ ফিচ সোনারগায়ের মসলিনকে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট বলিয়াছেন। সাম্রাজ্ঞী মুরজাহান বঙ্গের বস্ত্রশিল্পের বিশেষ সাহায্যকারিণী ছিলেন। র্তাহার সময়ে ঢাকার স্থতি কাপড় ও মালদহের রেশমী কাপড় রাজদরবারের প্রধান পরিচ্ছদ বলিয়া গণ্য হইত। স্বগ্ন মসলিনে হাজার হইতে দেড়হাজার স্থতার টানা থাকে। মসলিনে দুই আড়াই হাজার স্বতার টানা পৰ্য্যন্ত থাকিলেও তাহার সুগ্মতা অন্ত দেশের কারিগরের অনায়ত্ত । ঢাকায় মসলিন ভিন্ন নিম্নলিখিত বস্ত্র সকল বয়ন করা হইত – (১) বাফতা—পারস্ত শব্দ মানে ‘বোনা’। ট্যাভার্ণিয়ে ইহার দুই থান প্রায় ১৫০ টাকায় ভড়েীচে বিক্রয় হইতে দেখিয়াছিলেন । হিন্দু স্ত্রীলোকের পরিধেয়। (২) বুন্নি—লাল বা কালে পাড়ওয়ালা । মুসলমান মহিলার পরিধেয় । (৩) একপাট্টা—উড়ানি রূপে ব্যবহৃত হইত। (৪) জোড়—ব্রাহ্মণের পরিধেয় । (৫) শাড়ী—পাড়ওয়াল পরিধেয় । (৬) ধুতি-ধৌত করা যায় বলিয়া এই নাম। (৭) হাম্মাম—স্বানের সময়ের জন্ত, মোটা কাপড়। শীতের সময় উড়ানিও হয়। (৮) গামোছা । (৯) গজি, গড়া—দরিদ্রের পরিধেয় । মৃত্যুবরণী । মুগা রেশম মিশাইয়াও প্রায় ৩৪ প্রকার 'কাপড় প্রস্তুত হইত। তন্মধ্যে প্রধান –কুটাওরুমী, নওবুটি, আজিজুলা, লচক, কাশিদ (ফুলদার)। এই সকল ‘মালদীকী’ ( মালদহকী আর্থাৎ মালদহের) কাপড়ের অনুকরণ । এই সকল কাপড় আরব, ব্রহ্ম, মিশর, তুকী দেশে যাইত। মুসলমান বিজয়ের সঙ্গে এই প্রকার মিশ্রিত উপাদানে বস্ত্রবয়ন প্রণালী মালদহ হইতে ঢাকায় প্রবর্তিত হয়। মালদহের “এলচী (দুপিঠ সমান) ও মশরু (সদর অন্দর পিঠওয়ালা) কাপড় মুসলমান অধিকারের বহুপুৰ্ব্ব হইতেই প্রসিদ্ধ ছিল। রাণী হইতে দাসী পৰ্য্যন্ত সকলেই রেশমের বস্ত্র বয়ন করিত,