পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१७

  • ..****۔. مw.سه****.*****"م. وه«

۰۰۰۰۰ - ۰ -... م-۰۰ی -۰-۰ ماه কেহ হীন কাজ মনে করিয়া লজ্জা করিত না। পূৰ্ব্বকার স্ত্রীলোকদিগের—কি হিন্দু কি মুসলমান-বস্ত্র বয়নই অবসরবিনোদন কাৰ্য্য ছিল। ১৮২৮ সালে বিলাতী স্থত দেশে ঢুকিয়া শনৈ: শনৈঃ সৰ্ব্বনাশ করিয়াছে। কায়স্থ পুরুষগণও এই ব্যবসায় করিতে হীনতা বোধ করিত না। তাতি ছাড়া যুগীরাও র্তীতের কাজ করিত। র্তাতি ও ব্যবসায়ের বৃত্তান্ত । র্তাতির ব্যবসায়ে পাক লোককে ‘কারিগরী বলিত, এবং শিক্ষার্থীকে ‘নিকারী বলিত। যাহার স্থতার পাট করে তাঙ্গদের মজুরী দৈনিক দেড় আনা, সাধারণ মসলিন বয়নকারী তাতির মজুরী দুষ্ট তিন আনা, ফুলদার মসলিন করার মজুরী চাfর আন অথবা ৭টা ফুলে এক আনা । শৈশব হইতে কাজ আরম্ভ করিয়া শিক্ষা অভ্যাস ও জন্মগত ক্ষমতায় এক একজন কারুকর অদ্ভুতকৰ্ম্ম হইত। তখন খাদ্য দ্রব্যের মূল্য ছিল— ➢ ግሩ2 o Уty o o እz ©ፃ সালে সালে সালে চাউল ১/০ মণ ॥०-५० >९-२॥० >॥०–२९ লবণ ১/০ মণ • • • ১to &N &N সর্ষপ তৈল ১/০ ه إنكا *N *N ভূমিকরও তখন অত্যন্ত্র ছিল । এখন ত’ সাহেবের অভর পকেট ভরাইবার চেষ্টায় কর বাড়িয়াই চলিয়াছে । কাপড়িয়া মহাজনের কাপড় হাটে লইয়া গিয়া হাতে বা গজে মাপিয়া বেচিত। পাইকার, মুকিম, নাখোদার অধিক পরিমাণে কিনিয়া খুচরা বেচিত। দালালের খরিদদার যুঢ়াইয়া দিয়া কমিশন পাইত । ঢাকায় ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির কুঠি ছিল । দালালের মারফতে কুঠিতে কাপড় ক্রীত হইত। কুঠিয়ালগণ দরিদ্র লোভী তাতিদিগকে অগ্রিম দ্বাদন দিয়া মাল একচেটিয়া করিয়া রাখিয়াছিল। ‘যাচনদার’ যে দর বলিয়া দিত তাতিদিগকে সেই দরে কাপড় বিক্রয় করতে হইত। প্রসিদ্ধ মনীষী বার্ক বলিয়াছেন যে র্তাতির বৎসরে যত টাকার কাপড় উৎপন্ন করিতে পারে তদপেক্ষাও অধিক টাকা জোর করিয়া তাতিদিগকে দাদন দেওয়া হইত। এইরূপে তাতির প্রবাসী । SSMSSSMSSSMAeMSAeeAMSMSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA [ १भ छांशं । চিরজীবনের জন্য দাসত্বঋণে আবদ্ধ হইয়া নিৰ্য্যাতিত জর্জরিত হইত । কাপড় ধোলাই—পাইট—প্যাক করা। আবুল ফজল লিখিয়া গিয়াছেন যে সোণারগায়ের কাছে শতরগুণ্ড নামক স্থানের জলে কাপড় কাচিলে দিব্য পরিষ্কার হইত। ট্যাবর্ণিয়ে ব্যারোচি নামক স্থানের নদীর জলের এইরূপ প্রশংসা করিয়াছেন । নারায়ণদিয়া হইতে তেজ-গ পৰ্য্যন্ত ভূভাগের জলের এই খ্যাতি এখনো আছে। তেজগার সমৃদ্ধির সময় ইংরাজ, ওলন্দাজ, ফরাশী প্রভৃতি কুঠিয়ালের ধোলাই কারখানা ঐ স্থানে ছিল । নারায়ণদিয়ায় কুপের জলে কাপড় ধোয়া হইত। or কাপড় গামলায় ভিজাইয় আড়ভাবে খাজকাটা তক্তার উপর ধোপা আছড়ায় । সুস্থক্ষা মসলিন আছড়ায় না। তৎপরে সাবানঞ্চ সাজিমাটির জলে কাপড় ভিজায় । তৎপরে ঘাসের উপর ছড়াইয়া দিয়া জল ছড়া দেয় ; অৰ্দ্ধ শুষ্ক হইলে ভাটিতে দেয়। সমস্ত রাত্রি ভাটিতে থাকার পর কাপড় বাহির করিয়া ক্ষরিজলে ডুবার এবং আবার শুকায় আবার ভাটিতে দেয়, এইরূপে ১০১২ বার ভাটিতে দিলে কাপড় সুশুভ্র হয়। অবশেষে পরিষ্কার জলে ধুইয়া নেমুর রসমিশ্রিত জলে ডুবায় ; নেমুর রসে কাপড় কাচিলে এমন সাদা হয় যে চোখ ঝলসিয়া যায়। রেশমমিশ্রিত কাপড় কাচিতে নেমুর রসের সঙ্গে চিনি মিশ্রিত করে, ইহাতে রেশম উজ্জল হয়। তৎপরে রৌদ্রে কাপড় শুকাইয়া লয়। এক থান মসলিন কাচিতে ৩০ হইতে ১৬০ টাকা পৰ্য্যন্ত খরচ পড়ে । - কাপড় কাচা হইলে নারদীয়া কাপড়ের পাট করে। জখমি স্থানে জলের আছড়া দিয়া নাগফেনীর কার্টার চিরুণী দিয়া দিস্তে পড়া স্থত সরাইয়া সমান করিয়া দেয়। ইহাদিগকে "কাটাদার’ও বলে । t ‘রফুল্লাগর’ রফুকৰ্ম্ম করিয়া ছেড়া ফুট, স্থতার গিট সারিয়া দেয় ।

  • সাবান মুসলমানগণ এদেশে প্রথম প্রতি কয়েন । গাৰুৰ আরবীয় কথা। ঢাকার সাবান তৎকালে অত্যুৎকৃষ্ট বলিয়া পরিগণিত

ছিল ও ভারতের অস্তান্ত প্রদেশে আবৃত ছিল। সাবানের প্রচলন হওয়ার পূৰ্ব্বে কলার বাসনার ক্ষার ব্যবহৃত হইত।