পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] : ধারা আজ যেন একটা অপূৰ্ব্ব যৌবনের প্রবাহ বহিয়া লইয়৷ চলিয়াছে। এমন দিনের বিনা কাজের অবকাশে বিনয়ভূষণ তাহার বাসার দোতলার বারান্দায় একলা দাড়াইয়া রাস্তায় জনতার চলাচল দেখিতেছিল। কলেজের পড়াও অনেকদিন চুকিয়া গেছে, অথচ সংসারের মধ্যেও প্রবেশ করে নাই, বিনয়ের অবস্থাটা এইরূপ। সভাসমিতি চালানো এবং খবরের কাগজ'লেখায় মন দিয়াছে—কিন্তু তাহাতে সব মনটা ভরিয়া উঠে নাই। অন্তত আজ সকাল বেলায় কি করিবে তাহ ভাবিয়া না পুাইয় তাহার মনটা চঞ্চল হইয়া উঠিতেছিল। পাশের বাড়ির ছাতের উপর গোটাতিনেক কাক কি লইয়া ডাকাডাকি করিতেছিল এবং চড়ুইদম্পতি তাহার বারান্দার এক কোণে বাসা নিৰ্ম্মাণব্যাপারে পরম্পরকে কিচিমিচি শব্দে উৎসাহ দিতেছিল--সেই সমস্ত অব্যক্ত কাকলী বিনয়ের মনের মধ্যে একটা কোন অস্পষ্ট ভাববেগকে জাগাইয়া তুলিতেছিল। আলখার পর একটা বাউল নিকটে দোকানের সাম্নে দাড়াইয়া গান গাহিতে লাগিল— "খাচার ভিতর অচিন পার্থী কমৃনে আসে যায়— ধরতে পারলে মনোবেড়ি e দিতে পার্থীর পায় ।” বিনয়ের ইচ্ছা করিতে লাগিল বাউলকে ডাকিয়া এই অচিন্‌ পাখীর গানটা লিখিয় লয়, কিন্তু ভোর রাত্রে যেমন শীত-শীত করে অথচ গায়ের কাপড়টা টানিয়া লইতে উদ্যম থাকে না তেমনি একটা আলস্তের ভাবে বাউলকে ডাক হইল না, গান লেখাও হইল না, কেবল ঐ অচেনা পাখীর স্বরটা মনের মধ্যে গুন্‌ গুৰু করিতে লাগিল। এমন সমুয় ঠিক তাহার বাসার সাম্নেই একটা ঠিক গাড়ির উপর একটা মন্ত জুড়িগাড়ি আসিয়া পড়িল এবং ঠিক গাড়ির একটা চাকা ভাঙ্গিয়া দিয়া দৃকপাত না করিয়া •cवष्ण कणिब्र! cशृण। टैिंक গাড়িটা সম্পূর্ণ উলটাইয়া না পড়িয়া একপাশে কাত হইয়া পড়িল । विनम्न डांज्जांठांख्नेि ब्रांखांग्न वांश्द्रि श्हेझ cप्रथिण श्रृंक्लि হইতে একটি চোদ পনেরো বছরের মেয়ে মামিয়া পড়িয়াছে, ...»۰۰۰۰ ...» গোরা । ՀԳ:»

এবং ভিতর হইতে একজন বৃদ্ধগোছের ভদ্রলোক নামিবার উপক্রম করিতেছেন । বিনয় তাহাকে ধরাধরি করিয়া নামাইয়া দিল, এবং • তাহার মুখ বিবর্ণ হইয়া গেছে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল— “আপনার লাগেনিত ?” তিনি “ন, কিছু হয় নি” বলিয়া হাসিবার চেষ্টা করিলেন ;—সে হালি তথমই মিলাইয়া গেল এবং তিনি মুৰ্ছিত হইয়া পড়িবার উপক্রম করিলেন। বিনয় তাঙ্গকে ধরিয়া ফেলিল ও উৎকণ্ঠিত মেয়েটিকে কহিল—“এই সাম্নেই আমার বাড়ী ; ভিতরে চলুন।” বৃদ্ধকে বিছানায় শোয়ানো হইলে মেয়েটি চারিদিকে তাকাইয়া দেখিল ঘরের কোণে একটি জলের কুঁজী আছে। তখনি সেই কুঁজার জল গেলাসে করিয়া লষ্টয়া বৃদ্ধের মুখে ছিটা দিয়া বাতাস করিতে লাগিল এবং বিনয়কে কহিল,—“একজন ডাক্তার ডাকূলে হয় না ?” বাড়ির কাছেই ডাক্তার ছিল। বিনয় তাহাকে ডাকিয়া আনিতে বেহীরা পাঠাইয়া দিল । ঘরের একপাশে টেবিলের উপরে একটা আয়না, তেলের শিশি ও চুল আঁচড়াইবার সরঞ্জাম ছিল। বিনয় সেই মেয়েটির পিছনে দাড়াইয়া সেই আয়নার দিকে একদৃষ্টে চাহিয়া স্তব্ধ হইয়া রহিল। বিনয় ছেলেবেলা হইতেই কলিকাতার বাসায় থাকিয়া পড়াশুনা করিয়াছে। সংসারের সঙ্গে তাহার যাহা কিছু পরিচয় সে সমস্তই বইয়ের ভিতর দিয়া । নিঃসম্পৰ্কীয়া ভদ্র স্ত্রীলোকের সঙ্গে তাহার কোনো দিন কোনো পরিচয় হয় নাই। আয়নার দিকে চাহিয়া দেখিল, যে মুখের ছায়া পড়িয়াছে সে কি সুন্দর মুখ ! মুখের প্রত্যেক রেথ আলাদা করিয়া দেখিবার মত তাহার চোখের অভিজ্ঞতা ছিল না । , কেবল সেই উদ্বিগ্ন স্নেহে আনত তরুণ মুখের কোমলতামণ্ডিত উজ্জ্বলতা বিনয়ের চোখে সৃষ্টির সদ্যঃপ্রকাশিত একটি নূতন বিস্ময়ের মত ঠেকিল। একটু পরেই বৃদ্ধ অল্পে অল্পে চক্ষু মেলিয়া “মা” বলিয়া দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিলেন। মেয়েটি তখন দুই চক্ষু ছল ছল করিয়া বৃদ্ধের মুখের কাছে মুখ নীচু করিয়া আর্জস্বরে জিজ্ঞাসা করিল,”—“বাবা ! তোমার কোথায় লেগেচে ?”