পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R৮০ धंथोनी । AASAASAAeSAASAASSAAAAAAS AAASASAASAASAASAASAASAASAASAAAS . ।। १भ खोशः। SSSSSS BBB BBBB BBBS BBB BB BB BBBB BBBB BBB BBS BBBB BBt DDDttttt এক স্বদন্ত উপক্ৰম করিতেই বিনয় সম্মুখে আসিয়া কছিল—“উঠবেন বাট ধরিয়া বুদ্ধকে একটু একটু করিয়া খাওয় না—একটু বিশ্রাম করুন, ডাক্তার আস্চে ।” शिा ,ि বৃদ্ধ কোনো আপত্তি করিলেন না। দুধ খাইয়া বল পাইলে তখন তাহার সব কথা মনে পড়িল ও তিনি কছিলেন— বৃদ্ধ বিনয়কে কহিলেন--"এবারে আমরা शाहे । जांभूनाटक মাথার এই খানটায় একটু বেদন বোধ হচ্চে কিন্তু গুরুতর বড় কষ্ট দিলুম।” কিছুই নয়।” সেই মুহূর্তেই ডাক্তার জুতা মচ্‌মচ্‌ করিতে করিতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন—তিনিও বলিলেন বিশেষ কিছুই নয়। একটু গরম দুধ দিয়া অল্প ব্রাণ্ডি খাইবার ব্যবস্থা করিয়া ডাক্তার চলিয়া যাইতেই বৃদ্ধ অত্যন্ত সঙ্কুচিত ও ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন । তাহার মেয়ে তাহার মনের ভাব বুঝিয়া কহিল—“বাবা, ব্যস্ত হচ্চি কেন ? ডাক্তারের ভিজিট্র ও ওষুধের দাম বাড়ী থেকে পাঠিয়ে দেব।” বলিয়া সে বিনয়ের মুখের দিকে চাহিল । সে কি আশ্চৰ্য্য চক্ষু। সে চক্ষু বড় কি ছোট, কালে কি কটা সে তর্ক মনেই আসে না—প্রথম নজরেই মনে হয় এই দৃষ্টির একটা অসন্দিগ্ধ প্রভাব আছে। তাহাতে সঙ্কোচ নাই, দ্বিধা নাই, তাহা একটা স্থির শক্তিতে পূর্ণ। বিনয় বলিতে চেষ্টা করিল,--“ভিজিট অতি সামাষ্ঠ, সেজন্তো—সে আপনারা—সে আমি—” মেয়েটি তাহার মুখের দিকে চাহিয়া থাকাতে কথাটা ঠিকমত শেষ করিতেই পারিল না। কিন্তু ভিজিটের টাকাটা যে তাহাকে লইতেই হইবে সে সম্বন্ধে কোনো সংশয় রহিল না । বৃদ্ধ কহিলেন,—“দেখুন আমার জছে, ব্রাণ্ডির দরকার নেই—” o কস্তা তাহাকে বাধা দিয়া কহিল,—“কেন বাবা, ডাক্তণরবাবু ষে বলে গেলেন।” বৃদ্ধ কহিলেন,—“ডাক্তারর অমন বলে থাকে, ওটা ওদের একটা কুসংস্কার। আমার যেটুকু দুৰ্ব্বলতা আছে একটু গরম দুধ খেলেই যাবে।” - বেহার একবাটি গরম দুধ ও এক শিশি দাওয়াইখানার ব্রাণ্ডি আনিয়া বিছানার একধারে রাথিয়া দিল। মেয়েটি ব্রাণ্ডির শিশি লইয়া কহিল—“আমি বেশি দেব মা—কিন্তু ডাক্তার বখন বলে গেছে তখন ওটা মানতে হবে” ।—বলিয়া মেয়েটি বিনয়ের মুখের দিকে চাহিয়া কহিল,—“একটা গাড়ি ।” 競 বৃদ্ধ সঙ্কুচিত হইয়া কহিলেন,—“আবার কেন ওঁকে ব্যস্ত, করা ? আমাদের বাসা ত কাছেই, এটুকু হেঁটেই যাব।” মেয়েটি বলিল-—“ন। বাবা, সে হতে পারে না !” বৃদ্ধ ইহার উপর কোনো কথা কহিলেন না" এবং বিনয় নিজে গিয়া গাড়ি ডাকিয়া আনিল । গাড়িতে উঠিবার পুৰ্ব্বে বৃদ্ধ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—“আপনার নামটি কি ?” বিনয়। আমার নাম বিনয়ভূষণ চট্টোপাধ্যায়। বৃদ্ধ কহিলেন,—“আমার নাম পরেশচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য। নিকটেই ৭৮ নম্বর বাড়িতে থাকি। কখনো অবকাশমত যদি আমাদের ওখানে যান ত বড় খুসি হব।” মেয়েটি বিনয়ের মুখের দিকে দুই চোখ তুলিয়া নীরবে এই অনুরোধের সমর্থন করিল। বিনয় তখনই সেই গাড়িতে উঠিয়া তাহাদের বাড়িতে যাইতে প্রস্তুত ছিল কিন্তু সেটা ঠিক শিষ্টাচার হইবে কি না ভাবিয়া না পাইয়া দাড়াইয় রহিল। গাড়ি ছাড়িবার সময় মেয়েটি বিনয়কে ছোট একটি নমস্কার করিল। এই নমস্কারের জন্ত বিনয় একেবারেই প্রস্তুত ছিল না এইজন্ত, হতবুদ্ধি হইয়া সে প্রতিনমস্কার করিতেই পারিল না । এইটুকু ক্রটি লইয়া বাড়িতে ফিরিয়া সে নিজেকে বার বার ধিক্কার দিতে লাগিল । ইহাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হইতে বিদায় হওয়া পৰ্য্যন্ত বিনয় নিজের আচরণ সমস্তটা আলোচনা করিয়া দেখিল—মনে হইল আগাগোড় তাহার সমস্ত ব্যবহারেই অসভ্যতা প্রকাশ পাইয়াছিল। কোন কোন সময়ে কি করা উচিত ছিল, কি বলা উচিত ছিল, তাহা লইয়া মনে মনে কেবলি বৃথা . আন্দোলন করিতে লাগিল। ঘরে ফিরিয়া গিয়া দেখিল যে রুমাল দিয়া মেয়েটি তাহার বাপের মুখ মুছাইয়া দিয়াছিল সেই রুমালটি বিছানার উপর পড়িয়া আছে—সেটা