পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] , সেবা করিতেছেন ইহা প্রত্যক্ষ অনুভব করিতেন। আগে প্রার্থন না করিয়া তাঙ্গর কাছে আপনার দুর্বলতা না জানাইয়া এবং তাহার কৃপা ভিক্ষ না করিয়া কোন কার্যোই হস্তক্ষেপ করিতেন না। সুতরাং প্ৰভুই তাহার শক্তিপ্রাণ, প্রভূই তাহার বুদ্ধি ভরসা এবং প্রভূই তাহার কার্যের পরিণাম ফল ইহা জানিতেন। এই জন্ত এই কৰ্ম্মযোগ র্তাহার কাছে মধুময় হইয়াছিল। তিনি উপাসনাকুটীরে অতীক্রিয় রাজ্যে যে সমস্ত তত্ত্ব পাইতেন, জীবনের ক্ষেত্রে তাহাঁর সহিত সামঞ্জস্ত রক্ষা করিয়া চলিতেন ; নহিলে প্রভুর নিকট যে অসত্যাচারী কপট হইয়া যান। তাহার ভিতরের এবং বাহিরের জীবন যে একই ছাচে গঠিত হইতেছিল, তাহার কাৰ্য্য প্রণালী হইতে তাহ বেশ বুঝিতে পারা যায়। র্তাহার পিতা, সখা, গুরু, সকল আত্মীয়ের পরম আত্মীয় তাহার সমস্ত কাৰ্য্যের প্রধান উৎস ছিলেন। ভুল ভ্রাস্তি, পদস্খলন, অপরাধ তাহার কাছে নিবেদন করিয়া শান্ত হইতেন। কিন্তু তিনি উপাসনা ব্যতীত অন্তান্ত সাধনও করিতেন। যোগসাধনায় তিনি বেশ অগ্রসর হইতেছিলেন ইহাও আমরা জানিতাম । যাহাতে ভগবান লাভ হয়, যাহাতে প্রত্যক্ষ অনুভূতি স্পষ্টতর ও মধুরতর হইয়া আসে, তাহারই তিনি অনুষ্ঠান করিতেন। ইহাতে তিনি শাস্তি ও পাইতেন বলিয়া বেশ মনে হয়। তবে এ সমস্ত কথা বাহিরে প্রকাশ করা বোধ হর, সমীচীন বলিয়া মনে করিতেন না এবং করাও উচিত বলিয়া মনে করি না । যেখানে যোগ তপস্তায় কৃতী পুরুষের কথা শুনিতে পাইতেন সেখানেই -তৃণাদপি সুনীচ” হৃদয়খানি লইয়া বিনম্ৰমুখে দীন ভিখারীর দ্যায় উপস্থিত হইতেন। সকল সম্প্রদায়ের লোকের সহিত সমভাবে মিশিতেন, সমস্ত সাধুভক্ত জনের চরণতলে বসিতেন, এবং সমস্ত ক্ষেত্র হইতেই ভগবানের কৃপার দান সংগৃহীত করিতেন। “জ্ঞান তক্তি কৰ্ম্মযোগের” এমন মধুর মিশ্রণ, এমন সুন্দর অভিব্যক্তি আর বড় দেখিতে পাওয়া যায় না। র্তাহার ক্ষুদ্র প্রাণ মহাপ্রাণকে বয়ণ করিতে শিথিয়াছিল ; তাছার উদার প্রেম বিশ্বসংসারকে আপন করিতে শিথিয়াছিল । স্বাহ তিনি প্রভুর নিকট হইতে আদান করিতেছিলেন তাহাই তিনি বিশ্বসংসারকে প্রদান করিতেছিলেন। সুতরাং ইহাতে তাহার অহঙ্কার ছিল না, গৌরব ছিল না, আড়ম্বর ছিল না, আশা বা আকাঙ্ক্ষা ছিল না। তাহার প্রভু যেমন নীরবেই কাজ করিয়া যাইতেছেন, তিনিও সেইরূপ নীরবেই কাজ করিতে শিখিয়াছিলেন। জ্ঞান এবং ভূক্তির সহিত করে যোগসূত্র কিরূপে তাঁহাতে মিলিত श्हेब्रश्णि पनि आँगैब्र हेश श्हेख नै शिाउ अब्रि उत्व তাহার চরিত্র বুঝিতে পারা আমাদের সাধ্য নয়। বাহিরে তাহাকে দেখিলে কেহই তাহাঁকে “বড়লোক” বা প্রতিভাশালী পুরুষ বলিয়া মনে করিতে পারিত উমেশচন্দ্র দত্ত । Rఫిలి না। র্তাহার বাহমূৰ্ত্তি আদৌ আকর্ষণের বস্তু ছিল না ; কিন্তু তাহার অন্তরাত্মা শক্তি ও সদগুণে এমন বিকাশ লাভ করিয়াছিল, যে অনেক বড়লোক এবং অনেক প্রতিভাশালী ব্যক্তিও তাইণর নিকট জড়ের সুসজ্জিত, মূৰ্ত্তি ব্যতীত আর কিছুষ্ট নহে। যাহার অন্তর সুন্দর, তাহার বাহিরও স্বন্দর হইয়া উঠে। সাধনায় মানুষ কতদূর উন্নত হইতে পারে উমেশচন্দ্রই তাহার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনটি বিশেষ সাধনায় তিনি পূর্ণ মনোযোগী হইয়াছিলেন, আর তাহারই সিদ্ধিতেই তিনি পৌরুষলাভ করিয়া গিয়াছেন । প্রথমতঃ র্তাহার শক্তি যতই ক্ষুদ্র থাকুক না কেন, তাহার বিকাশের জন্ত তিনি কখনও ক্রটী বা অবহেলা করেন নাই। সদ্ব্যবহারেই শক্তির উপচয়, নতুবা অপচয় অবশুম্ভাবী। দ্বিতীয়তঃ বিধাতা তাঙ্গকে যে সময়টুক দিয়াছিলেন তাহার সদ্ব্যবহারে তিনি কখনও শৈথিল্য করেন নাই। বিধাতার দানের উপেক্ষ তিনি জানিতেন না ; সেই জন্য বিধাতাও তাহাকে কৃতিত্ব দানে কৃপণত করেন নাই, বরঞ্চ গৌরবের মুকুটদানে পুরস্কৃত করিয়াছেন। তৃতীয়তঃ কৰ্ত্তব্যকে তিনি কখনই ক্ষুদ্র মনে করিতেন না। যতই সামান্য হউক, অবহেলায় বা আলস্তে তাহা ফেলিয়। রাখিতে শিখেন নাই । ফলতঃ যাহা কিছু তাহার কাছে আসিত, যত্ন, নিষ্ঠ ও সভ্যবহারের গুণে তাহা হইতেই কিছু না কিছু করিয়া তুলিতেন। একগাছি তৃণ একটী বালুকণা তাহার কাছে উপেক্ষার বন্ড ছিল না । সুতরাং সময়নিষ্ঠা, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা এবং শক্তি ও বস্তুর সদ্ব্যবহার তাহাকে পৌরুষদান করিয়াছিল। তিনি ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, সুতরাং সাধনাও র্তাহার স্বক্ষতর হইয়া উঠিয়াছিল। ধৰ্ম্ম যে লোকদেখান কোন আড়ম্বর বিশেষ নয়, কিন্তু প্রকৃত জীবনের বঙ্ক, ইহা • অতি সূক্ষ্মরূপেষ্ট বুঝিয়াছিলেন। তাই তিনি সাধনার দ্বার তাহাকে জীবনে পরিণত করিতে নিয়ত চেষ্টা করিয়াছেন। তৃণাদপি সুনীচেন, তরেরপি সহিষ্ণুণ অমানিন। মানদেন কীৰ্ত্তনীয়: সদা হরিঃ। ইহা তিনি পাঠ করিলেন লোকের নিকট পাণ্ডিত্য প্রকাশের জন্য নয়, বেদী হইতে ব্যাখ্যা করিবার জন্য নয় কিন্তু নিজের জীবনে পরিণত করিবার জন্য । যাহারা তাহার সহিত মিশিয়াছেন, তাহারাই জানেন ইহার প্রত্যেক কথাই তিনি কিরূপে জীবনে পরিণত ও আত্মস্থ করিয়া লইয়াছিলেন । কুথিশালমিদম্বিশ্বম্ পবিত্রম্ ব্ৰহ্মমন্দিরম্, চেতঃ স্বনিৰ্ম্মলন্তীৰ্থং সত্যংশান্ত্র মনশ্বরমূ: বিশ্বাসে ধৰ্ম্মমূলাহি প্রীতিঃ পরম সাধনমূ, স্বার্থনাশৰ বৈরাগ্যম্ ব্রান্ধৈয়েৰং প্রকীর্ত্যতে। * তিনি ইহা পুস্তক এবং পত্রিকার শোভা এবং গৌরববর্ধনের জন্য রচিত মনে করিতেন না ; কিন্তু ধৰ্ম্মজীবনের অবিনাশী উপাদান বুলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি ইহা গিরিকরে