পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] AASAASAASAASAASAASAAAS বিস্তৃত প্রান্তর এক, গ্রাম্য পশুপাল সেথায় চরিত গিয়া । গ্রামবাসী মিলে উন্নত প্রাচীর এক করেছিল সেথ, যেন না প্রাস্তরে পশে জোয়ারের জল । দুরন্ত শীতের কালে খুলে দিত দ্বার, খেলিত সাগর বারি প্রান্তর মাঝার । পশ্চিমে দক্ষিণে ছিল শস্ত ক্ষেত্রগুলি বিস্তৃত হইয়া সেই সমতল ভূমে। উত্তরেতে পুরাতন মুনিবিড় বন উন্নত পৰ্ব্বতশ্রেণী পরশে গগন । সমুদ্র কুয়াস সেথা বেঁধে আছে ঘর, রাখিয়া দুইটি আঁখি গ্রামের উপর। সেই গ্রামে গৃহগুলি রঙ্গীন সুন্দর, • ক্ষুদ্র সে কুটার তবু শোভা অনুপম । নিদাঘ মধ্যাহ্নে যবে অস্তগামী রবি, রঞ্জিত করিয়া দিত গ্ৰাম্য পথগুলি, বাতায়নে গৃহদ্বারে পড়িত ছড়ায়ে, সে সময়ে গ্রাম্যনারী বালিকা সকলে বসিয়া রহিত সবে । কারো বা বসন নীল শুধু, কারে লাল, কারো শুভ্র বেশ, অলস ভাবেতে কাটে স্নিগ্ধ সন্ধ্যাবেল', মুহূ কথা কহে বৃদ্ধ, বালিকা ষোড়শী— খুলিয়া দিয়াছে কণ্ঠ সঙ্গীত তরঙ্গে। সেই পথে আসিতেন গ্রাম্য পুরোহিত, বালক বালিকা সবে, অসীম পুলকে ছুটিয়া যাইত কাছে, কারে চুমি মুখ কারে বা আশীষ করি তুষিতেন সবে। সদয় মহাত্মা তিনি, শিশুদের লয়ে যেতেন সেথায় যেথা, বৃদ্ধ, বালা, নারী সন্ত্রমে দাড়াত হেরি, তাহদের সবে জিজ্ঞাসেন সে দিনুের শুভ সমাচার । তারপর ক্লান্ত দেহে, শষ্য ক্ষেত্র হতে আসিছে গ্রামের লোক । ক্রমে অস্তগামী রবি ডুবে, ধরা জাগে গোধুলি আলোকে, মন্দির হইতে আসে শঙ্খ ঘণ্টা ধ্বনি । প্রতৃি গৃহে বাহিরায় নীলধূম শিখ । আনন্দ, আরাম, শাস্তি, ভরা গৃহ গুলি। সেইখানে, সেই গ্রামে আনন্দ পুলকে গ্রামবাসী বাস করে, ঈশ্বরের প্রেমে, মানবেঙ্গ প্রাণভর মেহের মাঝার । ভয়হীন দ্বেষহীন, সরল উদার, কখনো সভয়ে তারা রুধেনাক দ্বার ; লে গ্রামে ছয়াত্মা নাই ছুয়ার উন্মুক্ত দলিত কুমুম। AASAASAASAASAASA SAASAASAASAASAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS দিবসের আলোসম, গৃহবাসী হৃদি তেমনি উদার। ধনী আর দরিদ্রতে নাহিক প্রভেদ । হৃদয় শোণিত সম তারা যেন আপনার সহোদর ভাই । সেইখানে কিছু দূরে সমুদ্রের তটে বীরবল বাস করে। সেই ক্ষুদ্র গ্রামে সৰ্ব্বাপেক্ষ ধনশালী, শ্রেষ্ঠ সবাকার। একাকী কৃষক তার একটি ফুহিত, নয়নের মণি সেই ষোড়শী নলিনী ক্ষুদ্র গ্রামে বিকশিত সৌন্দর্য্য লতিকা । বৃদ্ধ সে কৃষক, তার মস্তক উপরে কত যে গিয়াছে শীত নাহিক সীমানা । তবুও সে দৃঢ় আজি, যেমন অদূরে প্রাচীন পাদপ স্থির তুষারে আবৃত। শুভ্ৰ তুষারের মত কেশদাম গুলি তেমনি মস্তকে তার শোভিছে কেমন। নয়ন প্রফুল্ল হয় নলিনীরে হেরি, সপ্তদশ বসন্তের আনন্দপ্রতিমা । কালে দুটি আঁখি তার অদূরে যেমন ক্ষুদ্র কণ্টকের মাঝে শোভে ক্ষুদ্র ফল । কালে বটে কিন্তু সেই ঘন পক্ষ জালে কি সুন্দর শোভে তার সে দুটি নয়ন । গ্রামের উৎসব কালে নবীন বসনে আবরি সুচারু তন্তু নলিনী মুন্দরী হাসি মুখে দেয় সবে আহার যতনে। কি শোভা সুন্দর ভাসে সে মুখের পরে। কি শোভা তখন যবে নিদাঘ প্রভাতে শুনি দূরে মন্দিরের আহবান সঙ্গীত, যায় সেথা পূজিবারে। সুনীল বসনে, শুভ্র আবরণে ঢাকি মস্তক যতনে। শ্ৰবণেতে নীলছ্‌ল, অতি পুরাভন • তাহাদের যতনের সঞ্চিত সম্পত্তি জননী কন্যারে দেয় এই বংশরীতি । সৰ্ব্বাপেক্ষ যে স্বৰ্গীয় মধুর আলোক খেলিছে আননে তার, ছাঁর মর দ্রব্য বাড়াতে পারে কি শোভা সে আলোর চেয়ে ? উপাসনা সঙ্গি করি, কহি মনোকথা গৃহে ফিরে, ঈশ্বরের দত্ত পবিত্রত খেলে তার সারা অঙ্গে । বীরবল গৃহ । শোভিতেছে সিন্ধু তটে, সন্মুখে তাহার, ছায়াদান করে সদা বৃহৎ পাদপ। বন্য লতিকায় ঘেরা গৃহদ্বার গুলি সেই স্থানে বিশ্রামের সুন্দর আসন।