পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** * সংখ্যা । ] ষে অধিকার করিয়াছে (যদিও সংখ্যায় খুব কম) সে দোষ কলকারখানার নহে। বোম্বাই নগরের সমৃদ্ধি একটু অনন্ত সাধারণ। ভারতভ্রমণকারীর সমুদ্র হইতে দেখিতে পান, ধুমধ্বজগুলা তাল-নারীকেলের স্থান অধিকার করিয়াছে ; কিন্তু তাঁহাদের এই ধারণা যে ভ্রান্ত তাহ অনতিবিলম্বেই তাছাদের হৃদয়ঙ্গম হয়। র্তাহারা মনে করেন, বোম্বায়ে যাহা কিছু দেখিতেছেন তাহা বুঝি ভারতের সর্বত্রই দেখিতে পাইবেন। কিন্তু কার্পাস-শিল্পব্যবসায়ের বোম্বাই—একমাত্র বোম্বাই-ই কেন্দ্রস্থান । বোম্বাই ত আর সমস্ত ভারত নহে। অন্তান্ত যে সকল নগর আজকাল খুব সমৃদ্ধ হইয়া উঠিয়াছে, কলকারখানা তাহাদের সৈই সমৃদ্ধির কারণ নহে; কাৰখানার কাজে অপেক্ষাকৃত অল্প লোকই ব্যাপৃত । সে সমৃদ্ধির কারণ, ইংরাজের বাণিজ্য ব্যবসায়, ইংরাজের ব্যাঙ্ক। উপকূলের বড় বড় বন্দর, করাচি, কলিকাতা, মাদ্রাজ, আভ্যন্তরিক প্রদেশের বিপণি-স্থানসমূহ যাহা রেলপথের চৌমাথায় অবস্থিত --ইহারাই ইংরাজের আমলে উপকৃত হইয়াছে। বিভিন্ন কারণে বোম্বাই সমৃদ্ধি লাভ করিয়াছে। বোম্বাই একটা বৃহৎ বন্দর, বোম্বাই বাণিজ্যের নগর, বোম্বাই কলকারখানার নগর। উহার উপসাগরের এরূপ সুন্দর সংস্থান যে তাহাতেই সমস্ত ভারতের অনন্তসাধারণ স্বাভাবিক বন্দর হইয়া দাড়াইয়াছে। যে সকল জাতি খুব উদ্যমশীল ও বুদ্ধিমান তাহারাই এই বিশ্বনাগরিক নগরে আসিয়া আডড গাড়িয়াছে। যাহারা বোম্বাইকে সমৃদ্ধ করিয়া তুলিয়াছে, তাহদের মধ্যে পাসীরাই প্রধান । এই দেখ, আমাদের বোম্বায়ের প্রখ্যাত কন্সল, তাহার ১৯০৪-১০ই জুনের বাষিক বিবরণীতে কি লিখিয়াছেন – “এই পাশ্চাত্য ভারতে, পর-পর দুইবার छूर्डिन्न झहेग्न গেল--ত ছাড়া ১৮৯৬ হইতে মহামারী এথানে স্থায়ী হইয়া দাড়াইয়াছে—এ সমস্ত সত্ত্বেও, এই বৃহৎ বন্দরের এরূপ সুন্দর সংস্থান, ( যুরোপ হইতে ভারত-প্রবেশের পক্ষে এরূপ উপযোগী বন্দর আর দ্বিতীয় নাই ) অত্রতা বণিকদিগের এরূপ উদ্যমশীলতা, কাপ্লালু-শিল্পের এরূপ উন্নত অবস্থা, রপ্তানী মালের এরূপ প্রভাব যে, বোম্বায়ের বিস্তৃত বাণিজ্য ব্যবসায়, মুহূর্তের জন্ত বিপন্ন হয় নাই ।” বন্দরের সৌন্দৰ্য্য, বৃহত্ত্ব, ও সুবিধাজনক বন্দোবস্ত সম্বন্ধে मांशंब्रिक छांग्नऊ । లిeరీ আমি পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। এখানকার প্রতিকুল সাগর-তীরের উপর প্রকৃতির অমুকুল দৃষ্টি ; মাদ্রাজ, পণ্ডিচারি, ओब्र७ অন্তান্ত উপকূলবৰ্ত্তী নগরে এরূপ স্বভাবদত্ত আশ্রয় স্থান । নাই ; তাই যে কাজ প্রকৃতি ੇ আরম্ভ করিয়াছেন তাহা সম্পূর্ণ করা ভিন্ন মানুষের আর বেশী কিছু করিবার আবশ্বক হয় না । জলের ডক্‌, ডাঙ্গার ডক্‌, ঘাট, যন্ত্র-সরঞ্জাম প্রভৃতি কিছুরই বোম্বাই-বন্দরে অভাব নাই। এখানে জাহাজের বহুল গতিবিধি। বোম্বাই কনসলের রিপোর্টে প্রকাশ — *১৯০২-১৯০৩ খৃষ্টাব্দে বিদেশ হইতে ৯১১ জাহাজ (-৬৪ বাষ্পীয় পোত ও ৩৪৭ পালের জাহাজ ) ১২৯-২৬৫ টন ওজনের মাল লইয়া আসিয়াছে ; এবং এখান হইতে ৭২৮ জাহাজ ( ৪৯২ বাষ্পীয় পোত ও ২৩৬ পালের জাহাজ ) ১২০৪২৯৩ টন ওজনের মাল লইয়া বাহির হইয়াছে। সব সমেত ১৬৩৯ জাহাজ ও ২৪৯৪৫৫৮ টন ওজনের মাল ; ইহার দ্বারা বোম্বায়ের বৈদেশিক বাণিজ্যের একটা আন্দাজ পাওয়া যায়।” বড় বড় জাহাজের কোম্পানী—ফরাসী, ইটালীয়, জাপানী “পেনিনসুলার,” “মেসাজেয়ার ম্যারিটিম্” “নিপে য়ুসেন কাইশা”—এই সকল কোম্পানীর জাহাজ বোম্বায়ে নিয়মিত যাতায়াত করে । সমস্ত ভারতের যে বাণিজ্য তাহার এক-তৃতীয়াংশ এক বোম্বায়ের। বোম্বাই এসিয়ার ম্যাঞ্চেষ্টার । যে ছোট ছোট পাহাড়ে নগরটি বেষ্টিত, সেই পাহাড়ের উপর হইতে দেখিতে পাওয়া যায়,—তাল নারিকেলের শুামল কুঞ্জ হইতে উচ্চ ধূমধ্বজ সকল বাহির হইয়াছে । সমস্ত ভারতে যে স্থতা ও কাপড়ের কল আছে তাঙ্গর মূল ধন ৩ কোটি বিশ লক্ষ মুদ্র এবং উহাতে ১৮০,• • • মজুর (স্ত্রী-গু পুরুষ) খাটিয়া থাকে । সমস্ত ভারতে ১৯২ কারখানা ও ৫০ লক্ষ টাকু (Spindle) । বোম্বায়ের ৮০টা কারখানা ও ২০ লক্ষ টাকু এবং উহাতে ৮৬• • • মজুর খাটে । এই উজ্জ্বল চিত্রে ছায়ার ভাগও আছে। স্থতা ও কাপড়ের শ্রেষ্ঠ খন্দের-প্রায় একমাত্র খন্দের-চীন। এক্ষণে, মুদ্রাবিনিময়ের অস্থিরতা ও রূপার চিরস্থায়ী ঘাটুতি—ইহাই ইহার গুরুতর প্রতিবন্ধক। কিন্তু একমাত্র প্রতিবন্ধক নহে। দেশোৎপন্ন দ্রব্যজাতের উপর শতকরা ৩১।৩২ হারে শুষ্ক চাপাইয়াএই ব্যবসায়টিকে ७fब्रांज्जांख कब्र श्ब्रांप्इ ; क्लिं★ श्रांग८ण ५ ७एकब्र क्रां*