পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৮ বিস্ময়ের আধার করিা রাখিয়াছে। ইহা সত্য সত্যই— বৃহৎ এবং সুন্দর। সম্মুখে দাড়াইয় প্রস্তর শিল্পের স্বগ্রাতিস্থঙ্ক রেখাপাত লক্ষ্য করিয়া দেখিবার আশা পরিতৃপ্ত হয় না ;--দেখিয়া আবার দেখিতে ইচ্ছা হয়,—আবার দেখিয়া—বহুবার দেখিয়া-দর্শনেন্দ্রিয় পরিতৃপ্ত হয় না । সম্মুখে মসৃণ, চাক্‌ष्किामा, কৃষ্ণমৰ্ম্মর ফলক ; তাহাতে কত লতাপাতা, কত অপুৰ্ব্ব শিল্পকৌশলে খোদিত হইয়া রহিয়াছে! সম্প্রতি যে জীর্ণসংস্কার আরব্ধ হইয়াছে, তাহার কল্যাণে প্রাঙ্গণ পরিষ্কৃত হইয়াছে, খিলান সুসংস্কৃত হইতেছে, হৰ্ম্মতল সুবিন্যস্ত হইতেছে। যাহা ছিল, তাহা নাই। হৰ্ম্মতলৈ শ্বেত-কৃষ্ণ বর্ণসমাবেশযুক্ত চিত্রিত ইষ্টক সুবিন্যস্ত ছিল, দেখিতে বহুমূল্য গালিচার ন্যায় বোধ হইত। লোকে তাহা তুলিয়া লইয়া গিয়াছে,—এখন অনাবৃত হৰ্ম্ম্যতল মৃত্তিকাময়। তাহার সহিত ভিত্তিগাত্রের সুকুমার শিল্পকৌশল সামঞ্জস্য হারাইয়া গৌরবহীন হইয়াছে। একখানি খোদিত প্রস্তর প্রবেশদ্বারের ধামপাশ্ব হইতে অপহৃত হইয়াছিল। আগ্রা, বারাণসী এবং পাটনার কারিগরগণ সেখানে ঠিক সেইরূপ আর একখানি খোদিত প্রস্তর সংযুক্ত করিয়া দিয়া প্রমাণ করিয়া দিয়াছে—এখনও ভারতবর্ষে প্রস্তরশিল্পীর অভাব উপস্থিত হয় নাই ! এই মস্জেদে বাদশাহের তথত—অর্থাৎ পৃথক সমুচ্চ উপাসনা বেণী-বর্তমান ছিল। এখনও তাহ সম্পূর্ণরূপে ংসপ্রাপ্ত হয় নাই। একটি স্বতন্ত্র প্রবেশকক্ষ দিয়া বাদশাহ তাহাতে আরোহণ করিতেন । ইহাতে বোধ হয় নগরোপকণ্ঠেও বাদশাহের শুভদৃষ্টিপতিত হইত। ফলকলিপির যে অংশে সন তারিখ খোদিত ছিল, সেই १* दिमठे श्ब्रां श्रिीब्रांtछ् । वैशद्र इक्ष्मग्रंब्र १७ अश्रश्ब्र१ করিবার প্রলোভনে পরিদর্শন ক্লেশ স্বীকার করিতেন, তাহার শাণিত অস্ত্রাঘাতে অনেক শিয়াদশ ক্ষত, বিক্ষত করিয়া গিয়াছেন। যাহা আছে, তাহা—এই সকল অত্যাচারে—জর্জরিত কলেবরে কলধাপন করিতেছে। তথাপি মোনা মঙ্গে একটি অতুলনীয় কীৰ্ত্তিচিহ্ন। . কাহার কীৰ্ত্তি ? ফলকলিপিতে দেখিতে পাওয়া যায়, হোসেন শাহার শাসন সময়ে অলি মহম্মদ কর্তৃক এই বিচিত্র প্রবাসী । [ ཤ་ཀི། छान्न j । মস্জেদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। অলি মহম্মদের উপাধি— মজলিস্-উল-মজালিস্-মনম্বর-তিনি একজন বিশিষ্ট রাজকৰ্ম্মচারী মাত্র। এই মস্জেদের বাদশাহী উপাসনাবেদী ইহাকে বাদশাহের কীৰ্ত্তি বলিয়াই পরিচয় প্রদান করিতেছে । তাছার আরও একটি প্রমাণ সোনামস্জেদের নিৰ্ম্মাণ স্থান । তাহার সম্মুখে যে সুবৃহৎ সরোবর, তাহ রাজকীয় সরোবর, তাহার নাম টাকশাল দীঘি । * এই দীঘি এখন অপরিচিত হইয়া পড়িয়াছে; কিন্তু ইহার তীরে যে টাকশালের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার নাম রাজমুদ্রায় মুদ্রিত হইয়া এক সময়ে স্বদেশে বিদেশে লোকসমাজে সুপরিচিত ছিল। টাকশালের নাম, ছিল—“ফিরোজাবাদ ।” হিজরী ৭৪২ হইতে ৭৯৯ সালের “ফিরোজাবাদী মুদ্রা” ইতিহাস পাঠকের নিকট সুপরিচিত। “ফরোজাবাদ’ কোথায় ছিল, তাহ লইয়া তর্ক বিতর্কের অভাব হয় নাই। টমাস সাহেব তাহার পাঠান-মুদ্রাবিষয়ক প্রবন্ধে অধ্যাপক ব্লকম্যানের উপদেশে ফিরোজাবাদকে’ পা ধুয়ার মগরোপকণ্ঠ বলিয়া নির্দিষ্ট করিয়া গিয়াছেন। পোঁও, ধৰ্দ্ধনের নিকটে “ফিরোজাবাদ” আছে ; গৌড়ের নগরোপকণ্ঠেও “ফিরোজপুর” আছে। এখানে দীঘিটি অস্থাপি টাকশাল দীঘি নামে সুপরিচিত আছে ; এবং তাহার তীরে বহুমূল্য প্রস্তর স্তম্ভাদির অসদ্ভাব নাই। হিজরী ৭৪২ হইতে ৭৯৯ সাল পর্য্যন্ত মুদ্রিত “ফিরোজাবাদী মুদ্রা” এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। তৎকালে পাণ্ডুয়া অপেক্ষ গৌড়ের প্রাধান্ত বর্তমান থাকায়, ইহাকেই cगरें পুরাতন টাকশালের স্থান বলিয়া স্বীকার করিতে হয়। সুসমাচার। ( > ) বোধিক্রম-তলে মুক্ত শুদ্ধ দেব অমিতাভ অমৃত বুদ্ধ! নরহিত তরে উদিল ধৰ্ম্ম ; লুকানো মন্ত্রে ৰেদ নাই।