পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*. হইতেছে, ன் হেতুবাদে বিংশশতাব্দীর শাস্ত্রেও যে সমুদ্র যাত্রা নিষিদ্ধ হইতে পারেন, ইহা কে বলিবে? ফলে চীৎকার না করিয়া কাজ করা উচিত, ইহা ঠিক কথা ; কিন্তু কাজ করিবার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আমাদের আছে কি ? এবং এখনও যাহা আছে, কালে সকল অবস্থাতেই তাহ থাকিবে কি ? যাহারা বলেন, আমরা কেবল চীৎকারেই পটু, কাজ করিতে আমাদের কোন পুরুষেই জানে না, তাহাদের কথা বিচাৰ্য্য । দেড়শত বৎসর আগে যখন উমিচাদের দলীলে ক্লাইবের শ্ৰীহস্ত পড়ে নাই, তখন এদেশের কাজ কে করিত ? তখন কি এদেশে কোন কাজ হইত না ? সকলেই যোগে মগ্ন হইয়া বসিয়া থাকিত ? হিন্দু মুসলমানের দেশ তখন ত হিন্দু মুসলমানেই চালাইয়াছে। এবং বলা বাহুল্য, রাজার কর্তব্য তখন অতি অল্পই ছিল, দেশের প্রায় যাবতীয় কাজ দেশের লোকেই চালাইত। রাজা ও রাজপুরুষের অতি অল্প কাজই করিতেন ; তাহারা পরের সহিত লড়াই করিতেন, বাহিরে শক্র না থাকিলে পরস্পর ঝগড়া করিয়া সময় কাটাইতেন, ছোট বড় বিদ্রোহ দমন করিতেন, ফৌজদার ও কাজি রাখিয়া শাস্তিরক্ষা ও বিচার আচার কিছু কিছু চালাইতেন ; রাজার দরবারে যে অর্থ প্রবেশ লাভ করিত, তাহার প্রার্থনা শুনিতেন, এবং মাঝে মিশালে বড় বড় রাজপথ বাধিয়া দিতেন বা তাহার আশে পাশে সরাই খুলিয়া, পুকুর কাটাইয়া, গাছ লাগাইয়া পথিকের উপকার করিতেন। কখনও বা নিষ্কর জমি পুরস্কার দিয়া গুণীলোকের ও পণ্ডিতলোকের সন্মান করিয়া ধৰ্ম্মকর্মের ও বিদ্যাচর্চার ও গুণগরিমার সাহায্য করতেন। আর দেশের বাকি সমুদয় কাজ ত. দেশের লোকেই চালাইত। দেশের জমিদারের ছোট খাট রাজার মত শাস্তিরক্ষা বিচার আচার, বিস্তাচৰ্চাদির ব্যবস্থা করিতেন ; গৃহস্থ লোকে পুকুর কাটিয়া গাছ পুতিয়া সাধারণের উপকার করিত ; ভট্টাচার্যের টোলে বসিয়া তাৎকালিক উচ্চশিক্ষার ও গুরুমহাশয় পাঠশালায় বসিয়া নিম্নশিক্ষার বন্দোবস্ত করিতেন, কথকেরা ও যাত্রাওয়ালার কাব্যামোদের সহিত নীতি শিক্ষার ব্যবস্থা করিত। গায়ের দিশে মিলিয়া বিবাদ নিম্পত্তি করিত, পঞ্চায়েত্ব মিলিয়া সামাজিক চুম্বশ্বের ও দিয়া তাহার अङिविशन कब्रिड़ हेञा!ि &वंबीँशौ ।

    • همه عناصحاجهه هخچی میوه های دهه سی و هاه

अॉछ कांण ८ष जकल कांछ - ৭ৰ ভাণ্ড । $ AMMeAMMASAMAAAA SASAASAAAS » بود پ** تهیه ۹ دی ما *** شیوه ۹۹ هاه जद्भरकांtब्रश्न हरिद्ध कथंद जङ्गकां८द्भग्न অধীন বিশ্ববিদ্যালয় মিউনিসিপালিটি, ডিষ্ট্রীষ্টবোর্ড, লোকালবোর্ড - প্রভৃতির হাতে, সেকালে সেই সকল কাজ দেশের লোকেই সম্পাদন করিত। কেহ বা ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তিতে, কেহ বা বাহবা লইবার জন্ত করিত, কেইবা দায়ে পড়িয়া করিত। কিন্তু দেশের কাজ ত চলিয়া যাইত। আর আজ কাল যেমন সরকারের নিয়োজিত নানা দল আছে, তখনও এই সকল সাধারণ কাজ চালাইবার জন্ত নানা দল আপনা হতেই স্থষ্ট হইয়াছিল। গ্রামের লোকে দল বাধিয়া গ্রামের কাজ চালাইত, ব্রাহ্মণ কায়স্থাদি উচ্চবর্ণের লোক আপন আপন সমাজ শাসন করিতেন, কামার, কুমার ছুতার প্রভৃতি শিল্পীর দলে আপন আপন ‘জাতি’ ব্যবসায়ের রক্ষার ব্যবস্থা করিত ও আপন আপন শিল্পী-সমাজের ' আভ্যন্তরিক শৃঙ্খলা স্থাপনের ব্যবস্থা করিত। এ সকল ত সৰ্ব্বজনপরিচিত কথা ! হষ্টতে পারে, এ কালের মত ঢাক ঢোল ছিল না, এত রিপোট লেখালেখি হইত না, এত কালী কলম লালফিতার খরচ হইত না ; হইতে পারে, এত শৃঙ্খলা ও এত শাসন ছিল না, এত বৃহৎ ব্যাপার ঘটত না ; রেলওয়ে ছিল না, ডাকঘর ছিল না, এত আদালত ইস্কুল পুলিশ ইত্যাদি ছিল না। নাই বা থাকিল ? একশ বৎসর আগে পৃথিবীর কোন দেশেই বা রেলওয়ে ডাকঘর ছিল, কালী কলম লালফিতার এত খরচ ছিল ? বরং লোকে কাণাকাণি করে, তখন এত দুর্ভিক্ষ ছিল না, ম্যালেরিয়া ছিল না, কলেরা ছিল না ইত্যাদি । যাক, এত বড় একটা বিশাল দেশের কাজকৰ্ম্ম অপাকার করিলে বিশালই হয়, এবং সেই বিশাল কাজকৰ্ম্ম যত ছোট আকারেই হউক, সেকালে চলিয়া যাইত এবং রাজার সম্যক সাহায্য ব্যতীতও দেশটা বর্তমান ছিল ; দেশ জুড়িয়া এই জনসঙ্ঘও বর্তমান ছিল। রাজশাসনের অভাবে বঙ্গদেশ বঙ্গসাগরে ডুবিয়া যায় নাই। বঙ্গদেশ ছিল বলিয়া ইংরেজ আজ উড়িয়া আসিয়া জুড়িয়া বসিয়াছেন। পুরাতন চোঁদ পুরুষে কোন রকমে কায়ক্লেশে দেশটাকে এতদিন ধরিয়া রক্ষা করিয়া আসিয়াছে, বলিয়াই ইংরেঞ্জ আজ এখানে দাড়াইবার স্থান পাইয়াছেন । • যাহার এতকাল ধরিয়া এই বিচিত্র দেশের ৱিচ্চিত্র