পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e88 প্রবাসী । ৰলিয়া অবজ্ঞা করা উচিত নহে। ইহাতে প্রমাণ হইয়াছে যে ভারতবর্ষে নেশন’ নাই বটে,—থাকিলে ভারতের প্রতি সাধু মণির ব্যবহার অন্তরূপ হইত—কিন্তু নেশনের বীজ আছে ; যদি তাহ প্রতিকুল শক্তির আক্রমণ রক্ষা করিয়া ভূমি ভেদ করিয়া গজাষ্টয়া উঠিবার অবকাশ পায়, তাহ হইলে ভারতবর্ষের ভবিষ্যতের ইতিহাস অন্ত আকার ধারণ করিবে । কাজেই এই দুই বৎসরের আন্দোলনকে আমি নিষ্ফল আন্দোলন বলিতে প্রস্তুত নহি । সম্ভবতঃ রবীন্দ্র বাবুও প্রস্তুত নহেন—কেন না এই ভাবের তরঙ্গ প্রবাহিত করিতে যে কয়জন লোকে চেষ্টা করিয়াছেন, তিনি তন্মধ্যে অন্যতম অগ্রণী । জনসঙ্ঘ মধ্যে ভাবের প্রবাহ পরিচালনার প্রধান অধিকার-সাহিত্যিকের । রবীন্দ্রনাথ স্বদেশী-ভাষার সাহায্যে যে সাহিত্য সৃষ্টি করিয়াছেন ও করিতেছেন, তাহাতে সেই স্রোতে নূতন নূতন তরঙ্গ উৎপন্ন হইয়াছে,—সময় সময় তুফানের স্বষ্টি হইয়াছে—বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না। তুফানে তরণী ছাড়িয়া দিয়া আজ যদি তিনি সামাল সামাল করিতে থাকেন, তাহা হইলে সম্পূর্ণ দোষ নিরপরাধ আরোহীদিগের উপর ষোল আন না চাপাইয়া স্বয়ং কতকটা গ্রহণ করিবেন। ফলে স্বদেশী আন্দোলনে আর কোন কাজ না হউক— কোন কাজই হয় নাই তাহা স্বীকার করিতেছি ন!—কোন বড় কাজ না হউক, অন্ততঃ আমাদের মনে একটা আশা छांशॉर्हेब्रां निग्नां८छ् । ভারতবর্ষের জনসাধারণের স্বয় যে ‘বন্দেমাতরম্ ধ্বনিতে ব্যাকুল হইয়া উঠিবে, ইতিপূৰ্ব্বে তাহার কোন, প্রমাণ, কোন লক্ষণই ছিল না। এতদিন শিক্ষিত সম্প্রদায়ের একাংশ তাহদের শিক্ষণলব্ধ জাতীয় ভাবের একটা অভিনয় করিতেন মাত্র; জনসঙ্ঘ কেবল অভিনয় দেখিত মাত্র, অথবা তাহাও দেখিত না। দেখিলেও এই অভিনয়ের সহিত তাহাদের যে কোন সম্পর্ক আছে, তাহা আদৌ জনিত না । এখন বেশব্যাপী জনসঙ্ঘ না হউক, সেই জনসজ্যের কিয়দংশ সেই ভাবের প্রবাহে ডুব দিয়া উঠিয়াছে ; তাহদের স্বায়ুতন্ত্রীতে একটা মাৰাত অনুভৱ করিয়াছে, তাছাদের আত্মার মধ্যে একটা নবোগত অপরিচিতপূৰ্ব্ব জনম্নভূতপূৰ্ব্ব বেদনার [ ৭ধ ভাগু ও আকাঙ্কার প্রেরণা পাইয়া আপনাতে , নবমস্থাম্বের স্ফৰ্ত্তি দেখিয়া ক্ষণেকের জন্য বিহবলতার ও আত্মবিশ্বতির আননা আস্বাদন করিয়াছে। ১৩১২ সালের ৩০শে আশ্বিন তারিখে আমরা একদিনের জন্য বিচার বিতর্ক পরিহার করিয়া যে উন্মাদনার জাহ্নবী প্রবাহে সাতার দিয়া লইয়াছি, তাহাতে আমাদের সারা জীবনের সঞ্চিত ক্লেদ মনেকটা ধুইয়া গিয়াছে ; এবং ইহার কল আমরা আজীবন ভোগ করিব। ভারতের ভাগ্যে বিধাত যাহাই লিখুন, সেদিনকার, ও তৎপরবর্তী কয়েকটা মাসের উপার্জিত নুতন ভাববেগ আমাদের জীবনে একবারে নিষ্ফল হইবে না। . যাহারা অত্যন্ত সাবধানতার সহিত এই মহাভাবের উচ্ছলিত প্রবাহ হইতে আত্মরক্ষা করিয়াছেন, তাহদের, বিজ্ঞতার প্রশংসা করিব, কিন্তু তাহাদের আত্মপ্রবঞ্চনার ভাগ লইতে যাইব না । মোটের উপর আমি বলিতে চাহি যে, পরের উপর কৰ্ম্মের ভার অর্পণ করায় অথবা পরে আমাদিগকে কৰ্ম্মভার হইতে অব্যাহতি দেওয়ায়, আমরা যে কেবল কৰ্ম্মক্ষমতা ও কৰ্ম্মপটুতা হারাইয়াছি এমন নহে ; আমরা কৰ্ম্মে প্রবৃত্তি পৰ্য্যস্ত হারাইতে বসিয়াছি। আমাদের কৰ্ম্মেঞ্জিয়ের পরিচালক পেশীগুলিই যে কেবল জড়ত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে এমন নহে, আমাদের স্নায়ুযন্ত্র পর্য্যন্ত বিকৃত ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত হইয়া পড়িয়াছে। এমন সময়ে ভাবের বৈদ্যুতী প্রয়োগে সেই পক্ষাঘাত দূর করা আবশুক ; এবং ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন স্বয়ং বৈদ্যুতিক ব্যাটারি হাতে লইয়া রোগীর শয্যাপার্থে বসিয়া আছেন, তখন আমরা একবারে ভরসা হারাই নাই । উত্তেজনাবলে রোগীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অস্বাভাৰিক আক্ষেপ দেখিয়া ডাক্তার যদি কিঞ্চিৎ চিস্তিত হইয়া থাকেন, আমরা বরং পক্ষাঘাত নাশের লক্ষণ দেখিয়া আশাविज्र झंझेब्र उर्लिंग्राष्ट्रि । • হিন্দু মুসলমান সমস্ত সম্বন্ধে একটা কথা বলিয়া এই প্রবন্ধের উপসংহার করিব। হিন্দু মুসলমান এক সঙ্গে দল না বাধিলে ভারতব্যাপী নেশন গঠিত হইবে না, ইহা সকলেই ; বুঝেন; এবং ইংরেজও ইহা খুব ভাল করিয়া বুঝেন বলিয়াই উভয়ের মধ্যে বিবেছি মাইতে দেখিয়া এতটাখুলীয়াছেন, মন্দ লোকে বলে, আগুনে কুলার বাতাস দিতেও তিক্লিফট