পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Фć o হইতে, এরূপ বিসদৃশ হইয়া পড়িল যে অতঃপর প্রাচীন নামের যোগ্য বিবেচিত না হইয়া নুতন নূতন আখ্যা প্রাপ্ত হইতে লাগিল। ইহাতে সংস্কৃত ভাষার বিশুদ্ধিরক্ষণশীলদল হইতেও, ইহার ক্রমে বিচ্ছিন্ন হইয় পড়ায়, এই ভাষাসংস্কারকদলের সহানুভূতি রক্ষণশীল হিন্দুসম্প্রদায় অতিক্রম করিয়া নবীন ধৰ্ম্মসংস্কারকদিগের সহিত ক্রমশঃ গাঢ় হইতে গাঢ়তর হইতে লাগিল। সুতরাং এই মীমাংসাই আমাদিগের নিকট স্বতঃসিদ্ধ বলিয়া বোধ হয়,-সংস্কৃত ভাষাই জনসাধারণের রুচির বশবর্তিনী হইয়া অল্পে অল্পে আরম্ভ করিয়া কালবশে অধিক পরিমাণে রূপান্তরিত হইয়া, ভারতে অধুন প্রচলিত নানা প্রকার গ্রাদেশিক ভাষাগুলির উপাদানীভূত প্রাচীন সংস্কৃত মাতৃভাষা সমূহের উৎপত্তি হইয়াছে। নেপালের সংস্কৃত বৌদ্ধসাহিত্যে এক প্রকার নূতন ভাষা পরিদৃষ্ট হয়। তাহা বিশুদ্ধ সংস্কৃতও নহে,—কারণ তাহাতে সংস্কৃতব্যাকরণের নিয়মগুলি সৰ্ব্বথা প্রতিপালিত হয় নাই । অথচ পালি বা প্রাকৃত ভাষার কোন শাখা বিশেষ বলিয়াও পরিগৃহীত হইতে পারে না,—কারণ তাহাতে ভাষা যে পরিমাণে রূপান্তরিত ও বিকৃত হয়, উল্লিখিত ভাষায় আদেী ততটা দেখা যায় না। পক্ষাস্তরে সংস্কৃতজ্ঞ মাত্রের প্রাকৃত ভাষা বুঝিতে যেটুকু আয়াস স্বীকার করিতে হয়, ইছ বুঝিতে তাহারও প্রয়োজন না হইয়া মাতৃভাষার স্তায় नश्रखहे हेझांद्र अर्थ ¢वांश् श्ञ । उठांज्ञएउग्न जर्तिtटर्छ প্রত্নতত্ত্ববিদ রাজেন্দ্রলাল মিত্ৰ মহোদয় বলেন—অভিহিতপূৰ্ব্ব গ্রন্থগুলির কবিতোপনিবন্ধ কাহিনীগুলি এই জাতীয় বিচিত্র ভাষার এবং গদ্যাংশ বিশুদ্ধ সংস্কৃতে লিখিত। এই জাতীয় কবিতা প্রায় অধ্যায় শেষে ও কখন কখন মধ্যে সন্নিবিষ্ট হইত কিন্তু গ্রন্থ প্রারম্ভে কখনও ব্যবহৃত হয় নাই। বৌদ্ধশাস্ত্রের অন্তর্গত মহাবৈগুষ্ঠ স্বত্রগুলিতেই এই কাৰিতভা পরিচয় পাওয়া যায়। জাতীয় সঙ্গীতটির প্রতি দৃষ্টিপাত কারলেই বুঝিতে পারিখেন গদ্য ও পষ্ঠাদি রচনায় সংস্কৃষ্ঠবহুল ভাষার উপযোগিতা কিরূপ।– “জরি ভুবন-মনোমোহিনি। জয়ি নিৰ্ম্মলহুৰ্য্য-করোজল ধরণি !

  • छनकछननौ-छननि ! নীলসিন্ধুঙ্গলধৌতচরণতল, অনিল-বিকম্পিত খামল-অঞ্চল, অরচুম্বিতভালহিমাচল শুভ্রতুষার কিরীটিনি! প্রথম প্রভাত উদয় তব গগনে, প্রথম সামরব তব তপোবনে, প্রখম প্রচারিত তব ঘনভবনে, জ্ঞান, ধৰ্ম্ম কত কায্যকাহিনী, চিরক্কল্যাণময়ী তুমি ধন্ত, দেশবিদেশে বিতরিছ অল্প জাতুৰী-যমুনা বিগলিত করণ পুণ্যপীযুদ্ধ অন্তৰাহিনি।" কথোপকথনের ভাষা ও সাহিতোর ভাষায় অল্পবিস্তুর ব্যবধান জগতের প্রায় সমস্ত জাতির ভাষাতেই পরিদৃষ্ট হয়, তাহ বিস্তুত হওয়া উচিত লাহ! সাহিত্যে প্রাদেশিক ভাষা প্রবর্তনের যোগাযোগ্যতা ঐযুক্ত মুনাৰ বন্ধ মহাশয় বর্তমান ৰাজল সাহিত্যের প্রকৃতি নামক পুস্তিকার श्ङ्गं तििथंष्ट्रांश्म’। ' &

প্রবাসী । [ १* डांश ললিতবিস্তর নামক সুপরিচিত বুদ্ধচরিত গ্রন্থে ইহার স্বপরিস্কট আদর্শ পরিদৃষ্ট হয়। গাথার প্রথম তৃত্বনির্ণায়ক সুপ্রসিদ্ধ ফরাসী পণ্ডিত ইউজিনবর্ণফ, ইহাকে সংস্কৃত পালিপ্রাকৃত সংমিশ্ৰিত অশিষ্ট্রপ্রযুক্ত সংস্কৃতভাষারূপে নির্দেশ করিয়াছেন। আধুনিক হিন্দীকবিতার স্তায় প্রয়োজনানুসারে হ্রস্বদীর্ঘ বর্ণের সংযোজন বিয়োজনের আকুঞ্চন সম্প্রসারণের স্বাধীনতার অপব্যবহার বশতই এই নূতন ভাষার সৃষ্টি হইয়াছে বলিয়া অনুমিত হয়। স্থূলতঃ সংস্কৃতের সহিত ইহার প্রকৃতিগত কোন বৈলক্ষণাই পরিদৃষ্ট হয় না। কেবল সংস্কৃত ব্যাকরণের কঠোর অনুশাসনের অনুবর্তন ও সেই সঙ্গে ছন্দোভঙ্গের দোষাদি পরিহার পূর্বক কবিতা রচনা করা অনেকের পক্ষে সুখসাধ্য বা প্রতি প্রদ হইত না বলিয়াই রচনার এই স্বাধীন পথ অবলম্বিত হইয়া'থাকিবে। দীর্ঘবর্ণ স্থানে হ্রস্বদেশ, হলস্তবর্ণের শেষবর্ণের ও অস্ত্য অনুস্বারের পরিহার প্রভৃতি ইহার কতকগুলি বিশেষত্ব পরিদৃষ্ট হয়। সংস্কৃত ব্যাকরণের ধাতুরূপের জটিলত্ব একেবারেই উপেক্ষিত হইয়া, সরলতর প্রয়োগে একই ক্রিয়া নানা বচনপুরুষলিঙ্গের সহিত অম্বিত হইয়াছে। বাক্যসমাবেশে সংস্কৃত ব্যাকরণের প্রণালী অমুস্থত হইলেও, সমাসবন্ধের নিয়মগুলি সুবিধামত প্রত্যাখ্যাত হইয়াছে। ছন্দোবন্ধের নিয়ম অব্যাহত করিবার জন্ত ভাষার প্রাথমিক : বিকৃতি সাধিত হইলেও, শেষ পর্য্যস্ত গাথা কবিতাগুলি ছনঃপ্রকরণের সম্পূর্ণ অনুবর্তন করিতেও সমর্থ হয় নাই— ক্রমে তাহাতেও যথেষ্ট স্বাতন্ত্রা অবলম্বিত হইয়াছে * ইউজিনবর্ণফ (ভারতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের ইতিবৃত্ত বিষয়ক গ্রন্থে) গাথার উৎপত্তি বিষয়ে হেতুদ্বয়ের অন্ততর সম্ভব স্থির করিয়া, এইরূপে নির্দেশ করিয়াছেন –

  • মিত্রমহোদর গাথার বিশেষত্ব সম্বন্ধে (Indo-Aryans, vol. II, pp. 279–86) নিম্নলিখিত কয়েকটির উল্লেখ করিয়াছেন –

ক—ছন্দঘটিত :- - (১) দীর্ঘীকরণ; যথা,রোমান (সংস্কৃত-রুদমান) স্মিতামুখী (স্মিতমুখী), করোথ (কুরুখ) । - (২) হ্রস্বীকরণ; যখ, ধরেম্ভি (ধারয়ন্তি),ক্ষিপ্ত (ক্ষিপ্ত) প্রভ (প্রভ), লভেন (লাভেন) । (৩) অক্ষর বিশেষের অপসারণ ; যথা, নিশ্চয়ে (নিশ্চচার), মল (মনসঃ), সজগে (সৰ্ব্ব জগতে), ইম দৃষ্ট বস্থাং (ইমাদৃষ্ট অবস্থা)। (৪) দীর্ঘশ্বর বা যুক্তব্যঞ্জনের ব্যবচ্ছেদ ; যথা, কিলেশ (ক্লেশ), শিল্পী (শ্ৰী), পূজারাহম (পূজাৰ্ম), বজিরিকার (ঘন্ত্রকার), শঙ্কিতং (শক্তং) (৫) হ' দ্বারা উচ্চাৰ্য্যবর্ণের পৃথক্ করণ। . - খ-গাথার প্রাদেশিকক্ষঃ- * * (s) शिक् षष्ठम कङ्गशविवङ्गरु”चनक्षश्निनष्ठा । , , (২) শারগের সংক্ষেপুৰ বিভক্তির লোপ সাধন। . (৩) অপভ্রংশ বিধান –বধ, আয়ু (সংক্রয়), কছিং ক্ষেত্র, কেন) मि (मश्, भग्ना) डि (चत्र), च्न। (उछ), जनछिः (अडिः)। • .