পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ] অকস্মাৎ হায়, কাল-রাহু আসি, করিল রে পূর্ণগ্ৰাস ! বল রে কৃতান্ত, চিরকাল তোর কেন এ কলঙ্ক হায় ? যারে সবে বাসে, সকলে সস্তাষে, সেঙ্গ আগে চলি যায় ! শ্রদেবেন্দ্রনাথ সেন । পাশি সমাধি-মঞ্চ । বর্তমান সময়ে পার্শিজাতি অতিশয় উন্নতি লাভ করিয়াছে । পার্শিগণ কয়েক শতাব্দী পূৰ্ব্বে উদীয়মান মুসলমান ধৰ্ম্ম হইতে স্বধৰ্ম্ম রক্ষণ হেতু পরশু দেশ হইতে গুজরাত প্রদেশে আগমন করে । তাহদের একদল বম্বে নগরীতে বাস করিতে আরম্ভ করে । বৰ্ত্তমান সময়ে বম্বের যাবতীয় উন্নতির মূলে পাশিজাতি। তাহাদের অনেক আচার ব্যবহার অতি বিচিত্র । তন্মধ্যে মৃত দেহ সম্বন্ধে তাঙ্গাদের ব্যবস্থা অস্থতম | পাশি সমাধি-মঞ্চ । ৪১ কিম্বা জলসৎকার করা কিম্বা কবর দেওয়া উচিত মনে করে না। তাগর কোন পৰ্ব্বত শিখরে কিম্বা অপর কোন উচ্চ স্থানে এরূপ প্রণালীতে সমাধি-মঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করে যে, গলিত শবদ্বারা পৃথিবী কলুষিত কিম্বা কোন প্রাণীর অনিষ্ট ইষ্টতে না পারে। বহুব্যয়ে উৎকৃষ্ট প্রস্তরাদি দ্বারা সমাধি-মঞ্চ নিৰ্ম্মিত হয় । যে স্থানে পাশিদের সংখ্যা কিছু বেশী, সে স্থানেই তাহার একটা সমাধি-মঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করে । • গুজরাতী ভাষায় সমাধি-মঞ্চের নাম “ডোকৃমা ।” যাবতীয় সমাধি-মঞ্চের নিৰ্ম্মাণপ্রণালী একষ্ট প্রকার। মঞ্চটী নুনাধিক ৫০ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট সমতল বৃত্তাকার। কিন্তু ঠিক মধ্যস্থলে একটা কুপ থাকাতে উহা বলয়াকার দেখা যায়। মঞ্চ ও কুপ প্রস্তর দ্বারা উত্তমরূপে বাধান। কিন্তু মঞ্চ প্রায় ১০ ফুট উচ্চ প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত। প্রাচীরগাত্রে উপযু পিরি দুষ্টট ছোট জানাল মাত্র আছে। নিম্নেরট কিছু ডোক্‌মা বা পার্শি সমাধি-মঞ্চ । পাশিদিগের ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের নাম আবেস্তা। তাঙ্গদের ধৰ্ম্মপ্রবর্তক জরথুস্থের মতে অগ্নি ও পৃথিবী অতি পবিত্র। উগদিগকে কোন প্রকারে কলুষিত করা পাশিগণ ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ মনে করে- সুতরাং গলিত কিম্বা দগ্ধ শৰ দ্বারা উঠার তাপবির হইবে, এই ভয়ে পার্শিগণ মৃত দেহ অগ্নিসৎকার বড়, উহা দ্বারা শববাহকগণ মঞ্চের অভ্যস্তরে যাতায়াত এই জানালাট প্রায়ষ্ট তালাবদ্ধ থাকে । সুতরাং উপরকার জানাল দ্বারা উকিমারিয়া যাহকগণ মঞ্চের অভ্যন্তর পরিদর্শন করে। ঐককেন্দ্রিক (concentric) দুষ্টট রাস্ত দ্বারা মঞ্চ তিন ভাগে বিভক্ত। ঐ রাস্ত দ্বার করে ।