পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা | ]. * હક স্রোতস্বিনী বতে সুবঙ্কিম গতি :– যেন খাম ধরণীর কটি তটে শোভে রজত কিঙ্কিনী কাঞ্চী ; অথবা রামের বিশাল শু্যামল বক্ষে রতন খচিত হীরকের হার যথা দীপ্তি বিভাময়। গিরি পাশ্ব বাহী শুল “সহস্রধারার” প্রপাত-শকর-সিক্ত উপল প্রদেশে রয়েছে কুমারী কুণ্ড, কাননে বেষ্টিত । উত্তরে “চম্পকরণ্য,” “ব্যাস সরোবর’ তীরে বসি ব্যাসদেব মহান মুরতি, যুগ যুগান্তর ব্যাপি ধ্যানে নিমগন । দক্ষিণে বাড়বানল অপূৰ্ব্ব ভীষণ গরজি সলিলোপরি, নিশি দিন সদা জলিতেছে অবিরাম, ধর্ক ধক্ করি । পুণ্য তীর্থ সীতা কুণ্ড পাবনী মরতি সতীত্বের চির স্মৃতি, অর্থাপি ভূবনে জাগায় মানব হৃদে করুণ কাহিনী । বিরূপাক্ষ-মন্দিরের নিয়ে স্নিগ্ধ স্তানে রয়েছে “পাতালপুরী” নীরব নির্জন বল্লর বিতানে ঢাকা, শাস্ত সুশীতল । সে নিজনে একাসনে শুভ্র শিলাসনে উপবিষ্ট হরগৌরী, কি শোভা অতুল ; একাধারে ভক্তি প্রেম সৌন্দয্যের থেলা । গিরীশ গিরিজ রূপ অতুল অপার যেন সে মাধুরী হেরি ভকতি বিস্ময়ে নীরব প্রকৃতি হেথা, নিস্তব্ধত যেন উল্লাসে বিভোর হয়ে চাহে অনিমেষে শঙ্কর শৈলজা পানে, বিস্ময়ে বিহবল ৷ দূরে নিরজনে শ্রাম উপতাকা ভূমি, নিসর্গের চারু শোভা অপূৰ্ব্ব মাধুরী। আহা কি বর্ণনাতীত দৃশু মনোহর অসীম অতুলনীয়, প্রকৃতির যেন রমণীয় সুধাময় নিত্য লীলা ভূমি। ধে দিকে চাহিয়া দেখ সে দিকেই যেন স্বভাবের প্রদর্শনী, মরি কি মুন্দর। মহারাজ গায়কবাড় । Ꮷ☾ সুশোভিত ফলে ফুলে নবীন পল্লবে নব দ্রুম লতা রাজি ; বন বিহগের মধু কল কণ্ঠে গিরি বন মুখরিত। ভকতির প্রস্রবণ, প্রেমের নিঝর, আপনি উথলে দে, তব দরশনে চন্দ্রনাথ, চরিতার্থ হয় প্রাণ মন— ঙ্গেরিলে তোমার কোলে প্রকৃতির খেল । উল্লাস বিস্ময় ভয় প্রেম ভক্তি জ্ঞান একাধারে সম্মিলন ; কি শোভা অতুল, কি মহান কি উদার কি অসীম রূপ তোমার হে চন্দ্রনাথ, চির শোভাময়, হেরিলে ভকতি-রসে ঈদি দ্রব হয় । শ্ৰীঅনঙ্গমোহিনী দেবী । মহারাজ গায়কবাড়। আমাদের দেশে উন্নতির যুগ আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে, ইহা শক্রকেও স্বীকার করিতে হইবে । আমাদের দেশের অধঃপতনের প্রধান কারণ ছিল অনৈক্য, উদাসীনতা, অদৃষ্টবাদ ও নিরাশ্বাস ( ইংরাজীতে যাহাকে pessimism বলে ) । এক রাজ্যতন্ত্রের অত্যাচার অবিচার পরস্পরবিরোধী জাতি সকলকে সমস্বাথ ও ঘনিষ্ঠ করিয়া তুলিয়াছে, গমনাগমনসুবিধা দূরত্ববাবধান নিরাকৃত করিয়াছে, ইংরাজীভাষা পরম্পরকে একভাষী ও পরস্পরের মৰ্ম্মজ্ঞ করিয়াছে ; ইংরাজশাসনের মধ্যযুগে শিক্ষাদীক্ষার ফলে মধ্যবিত্ত অবস্থার কয়েকজন দেশহিতব্ৰত গ্রহণ করিলেও একদিকে অভিজাত ও ধনী সম্প্রদায় অপরদিকে প্রজাসাধারণ নিতান্ত উদাসীন ছিলেন, আজকাল অভিজাত সম্প্রদায় বিলাস ফেলিয়া, গৰ্ব্ব ভুলিয়া, ইংরাজের ভয়মোহ কাটাইয়া দেশহিতব্ৰত গ্রহণ করিয়াছেন, উদাসীনতা ঘুচিয়াছে ; এপন উষ্ঠমের সহিত সফলতার নিত্য যোগ, কৰ্ম্মের সহিত পুরস্কারের কায়াছায়া সম্বন্ধ, ইহা বুঝিয়া ও উদর জালার বিষম প্রবর্তনীয় লোকে আর অদৃষ্টনির্ভর নহে, কৰ্ম্মের উৎসাহ জাগ্রত হইয়াছে, জীবনসংগ্রাম আরব্ধ হষ্টয়াছে ; একদিকে আমাদের পুরাণ প্রভৃতি ধৰ্ম্মশাস্ত্র আমাদের কাণে নিত্যকাল ধরিয়া গুঞ্জন করিতেছিল, ‘ওরে মুঢ়