পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ] নামক সাহেব সিভিলিয়ন নিযুক্ত হইয়াছিলেন। কয়েকটি অভিজাত বংশীয় বালক লইয়া একটি ক্ষুদ্র পাঠশালা মতন করিয়া মহারাজাকে শিক্ষা দেওয়া হইত। প্রত্যহ ১০০ টা হইতে ৫টা পৰ্য্যন্ত পাঠ ও প্রাতঃ সন্ধ্যা ব্যায়ামের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। ছয় বৎসরের কঠিন সাধানা ও সংযমে মহারাজ দেহ মনে সুস্থ সবল বীর হইয়া উঠিলেন। রাজ্যভার গ্রহণের সময় সন্নিকট হইলে তাহাকে রাজ্য পরিচালন প্রণালী শিক্ষায় নিযুক্ত হইতে হইল। এইরূপ ছয় বৎসরের সাধনা সংযমে গুরুভার কৰ্ত্তব্যবহনের উপযুক্ত হইয়া ১৮৮১ সালের ২৮শে ডিসেম্বর তিনি স্বাধীনভাবে রাজ্যভার গ্রহণ করিবার পূর্ণ ক্ষমতা প্রাপ্ত হইলেন। একটা প্রবচন আছে ‘উঠন্তি গাছের পত্তনে পরিচয় ; এবং ইংরাজ কবি ওয়ার্ডস ওয়ার্থ বলিয়াছেন The child এই মহাপুরুষের বাল্যজীবনেও ভবিষ্ণু মহত্বপরিচয় প্রকট দেখা গিয়াছিল । তিনি বাল্যকাল হইতেই নিয়মী ও মিতাচারী; এই গুণের সহিত অধ্যবসায় সংযুক্ত হইয়া শিক্ষাবস্থায় তাহার দেহ মনের যথেষ্ট উন্নতি সাধন করিয়াছিল। তাহার পাঠনার দ্বিতীয় বর্ষেই তিনি ইংরাজী ভাষায় কথোপকথনসক্ষম হইয়াছিলেন । বালোই তাহার সকল কৰ্ম্মে সহজত, মহত্ত্ববাঞ্জিত নম্রতা, আত্মবশিত্ব, মেজাজের সমতা, চিন্তাশীলতা ও প্রকৃষ্ট ভব্যতার পরিচয় পাওয়া যাইত সেই সকল গুণ এক্ষণে তাহার কৰ্ম্মে অধিকতর পরিস্ফুট হইয়াছে দেখা যায়—তাহার রাজকার্য্যের শৃঙ্খলা, নিয়মনিষ্ঠ, অসুবিধার প্রতিকুলে ধৈর্যশীল অধ্যবসায়ে কৰ্ম্ম নির্বাহ দ্বারা ও সামাজিকতা, ভব্যতা, নম্রতা, অনাড়ম্বরতা দ্বারা তিনি প্রকৃত প্রকৃতিরঞ্জন রাজা হইয়াছেন এবং দেশ বিদেশে গৌরব ও খ্যাতি অর্জন করিয়াছেন। ২৫ বৎসর রাজকাৰ্য্যের পরে তাহাকে আমরা যশোমাল্য বিভূষিত রাজারূপে শুধু দেখিতেছি না, তাহাকে আমরা দেশহিতব্ৰত কৰ্ম্মীরূপে আমাদেরই নেতারূপে পাইয়া ধন্য ও গৌরব বোধ করিতেছি। তিনি শিক্ষিত, সক্ষম, তৎপর ও ভারতীয় রাজষ্ঠ বর্গের অগ্রণী ; তাঙ্গকে সম্মান দেখাইয়া আমরা আজ আনন্দ ও অন্ধ্রপ্রসাদ ভোগ করিতেছি । মঙ্গরাজা বয়ঃপ্রাপ্ত হইবার এক বৎসর পূৰ্ব্বে ১৮৮০ সালে তাঞ্জোর রাজবংশের রূপগুণসম্পন্ন এক মহিলার পাণিগ্রহণ করেন । তিনি মঙ্গরাজকে রাজ্যাধিকারী পুত্র উপহার দিয়া স্বৰ্গপ্রস্থিত হইয়াছেন। হঁহারই পুত্র কুমার ফতেসিংহ রাও, যুবরাজ । পরলোকগত মহিষীর স্মরণার্থ বড়োদার প্রধান বিচারালয়ের নামকরণ হইয়াছে চিমনাবাঈ তারমন্দির’। এই মন্দিরের ভিত্তি প্রতিষ্ঠার দিন (১৮৮৭ সালের ২৮শে মে ) তিনি মহিষীর গুণেল্লেখ করিয়া বলিয়াছিলেন, নম্নস্বভাব, প্রিয়কারিণী, করুণাময়ী-খিনি স্নেহময়ী মাতা ও প্রেমময়ী পত্নী ছিলেন—সেই স্বগীয়া মহিষীর is the father of the man. মহারাজ গায়কবাড় । .8ዓ স্মরণার্থ এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হইল”। মহারাজা পুনরায় দারপরিগ্রহ করিয়াছেন। বর্তমান মহিষীও মহারাজের প্রকৃত সহধৰ্ম্মিণী ; তিনি লোকছিতে উৎসাহসম্পন্ন, উন্নতমন শিক্ষিতা । ইনি কলিকাতা-মহিলাসমিতির নেত্রীরূপে যে সকল কথা বলিয়াছেন, তাহ প্রত্যেক ভারতবাসীর সযত্নপ্রণিধানযোগ্য। মহারাণী দেওয়াসের মহারাষ্ট্ররাজবংশসস্থতা। তাহার তিন পুত্র ও এক কস্তা। মহারাণীকে দেখিবার সৌভাগ্য আমার দুইবার হইয়াছিল ; বড়োদায় লক্ষ্মীবিলাস প্রাসাদে দূর হইতে এবং কলিকাতায় ঐযুক্ত জানকীনাথ ঘোষাল মহাশয়ের বাড়ীতে নিকটস্থ হইয়া ; তাহার উন্মুক্ত স্বাধীনতারমধ্যে বিনম্রসরমের শালীনতা আমার মনে বৈদেশিক সঙ্কোচরহিত স্বাধীনতার মূৰ্ত্তির সহিত ভারতীয় স্বাধীনভার পার্থক্য স্মরণ করাইয় দিয়াছিল। মহারাণী অনর্গল ইংরাজি বলিতেছিলেন যুরোপ ঘুরিয়া আসিয়াছিলেন (অধুনা আমেরিকাও ঘুরিয়া আসিয়াছেন), কিন্তু তথাপি র্তাহাকে হীহীনা মেম সাহেবের পরিবর্তে সতীসৌভাগ্যের সিন্দুরবিন্দুশোভিতললাটে আমাদেরই মাতৃমূর্তিরূপে পরিচয় পাইয়া যে মুখ অনুভব করিয়াছিলাম, তাহা সহমৰ্ম্মীর অমুভাব্য, আমার বর্ণনীয় নহে। তিনি আমাদের দেশের ঘোমটাটানা কনেবউদেরও যেমন আদর্শ, উগ্র সাহেবিয়ানাগ্রস্ত শালীনতানা মহিলাদিগেরও তেমনি আদর্শস্থানীয়া । বিদেশী জিনিৰ নিজস্ব করিয়া লইতে না পারিলে, তাহ চক্ষুশূল হইয়া থাকে। ইহা পারে নাই বলিয়াই ভারতী-ইঙ্গ এত হাস্তাস্পদ ও পারিয়াছে বলিয়াই জাপানী জগৎমান্ত ; মহারাণীর মধ্যে সৌন্দর্য্যের সহিত শালীনতার সন্মিলন, সরলতার সহিত রাষ্ট্ৰীজনোচিত গাম্ভীৰ্য্যদীপ্তির সম্মিলন হুইয়া তাহাকে মহারাজার প্রকৃত সহধৰ্ম্মিণী ও ভারত-মহিলার নেত্রীস্থানীয়া আদর্শ করি 羽忆5日 অল্পদিন হইল যুবরাজ ফতেসিংহের বিবাহ হইয়াছে। তিনি দক্ষিণ মল্লারাষ্ট্রের ফলতান রাজবংশের কন্ঠ বিবাহ করিয়াছেন । তাহার একটি কল্প হইয়াছে । এক্ষণে তিনি বিলাতের কেম্বি জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করিতে গিয়াছেন । তিনি এখান হইতে বোম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছেন। ফতেসিংহ যুবরাজ খুব বীরধৰ্ম্মী ; তিনি অশ্বারোহণ, অস্ত্রচালনা প্রভৃতি কৰ্ম্মে যথেষ্ট সক্ষম ও উৎসাহসম্পন্ন। বড়োদায় গিয়া নৰ্ত্তনপর বেগবান অশ্বের উপর ফতেসিংহ যুবরাজের যে তেজস্ব মুৰ্ত্তি দেখিয়াছিলাম, তাহ আজে৷ আমার অস্তরে জাগ্রত রহিয়াছে। যুবরাজের ঐকান্তিক আগ্রহ ছিল ষে তিনি বিলাতে গিয়া সমরবিদ্যা গিঙ্কা করেন ; কিন্তু আমাদের দেশে এখনো সমরশিক্ষার আবশুকত আসে নাই, oËR; HİGH"fRFI HAFTSf3 (administrative effi