পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-a পতঙ্গ নির্গত হইয়। যাইবার পূৰ্ব্বেষ্ট আকষ্ঠিত কোষ হইতে স্থত বাহির করিতে হয় কিন্তু ইহা হইতে পতঙ্গ নির্ণত হইতে দিতে হয় । ইহাতে প্রাণীবধের আবখ্যক হয় না । ইহার আঁশ শক্ত ও স্থায়ী এজন্য বহুজন সমাদৃত। যদিও ইহার চামে লাভ অপেক্ষাকৃত কম, তথাপি ইহাতে অনেক সুবিধা আছে। তহীর তীশ গ্রহণ করিবার প্রণালী :-- পতঙ্গ কোষ কটিয়া নির্গত হইলে কোষগুলিকে ছাইয়ের সঙ্গে জলে বা ছাইয়ের জলে (Iye) সিদ্ধ করিতে চয় ও খুব ঠাসিতে হয়। ঠাণ্ড হইলে পরিষ্কার জলে ফেলিয়া ক্ৰমাগত ঠাসিতে হয়। তৎপরে উঠাইয় জল নিংড়াইয় রেীদ্রে শুকাইয়। চরক বা টাকুতে শুভ তৈয়ার করিতে হয়। ইহা হইতে স্বত তৈয়ারি করিবার পূৰ্ব্বে তুল বা পশমের মত পিডিয়৷ ধূনিয়া অ চড়াইয়া লক্টতে হয় । আমরা সাধারণ উদ্ভিদের যে আকার প্রকার দেপিতে পাই, তাহার অনেকটা ভূমধ্যাকর্ষণের (Gravity) ফল বলিয়া ডারুইন প্রভৃতি বড় বড় পণ্ডিতেরা স্থির করিয়া গেছেন। কোন গাছের ডালকে মাটির সহিত গুয়াষ্ট্রয় রাপ, দেপিবে ডালট বাকিয়া মাথা উঁচু করিবার চেষ্টা করিতেছে। যে কোন গাছের মূল পরীক্ষা কর, সেটিকে ক্রমেই মাটির ভিতর নামিয়া যাইতে দেখিবে । এষ্ট সকল ব্যাপার ভূমধ্যাকর্ষণের ফলে হয় বলিয়া বহুকাল সিদ্ধান্ত হইয়া গিয়াছে। কিন্তু ঠিক কি প্রকারে সেই একই আকর্ষণ দ্বারা গাছের একটা অংশ উপরের দিকে এবং অপরটি তাহার বিপরীত দিকে বড়ে, তাঙ্গ প্রাচীন বা আধুনিক কোন পণ্ডিতই ভাল করিয়া বুঝাইতে পারেন নাই। সুপ্রসিদ্ধ জীবতত্ত্ববিদ ডাকুইন্‌ সাহেব বিটষ এসোসিয়েশনের এক বিশেষ অধিবেশনে স্পষ্টই বলিয়াছিলেন,—পুথিবীর টানে যে গাছের শিকড় নীচের দিকে ও গুড়ি উপরে উঠে তাহা আমরা অনুমান করিতে পারি । কিন্তু কোন কৌশলে যে, একই উত্তেজনায় ঐ বিপরীত কাৰ্য্য দু’টা হয়, তাহা আজো আমাদের অজ্ঞাত। ভূমধ্যাকর্ষণের সহিত গাছের বৃদ্ধির পূৰ্ব্বোক্ত বৈচিত্র্যগুলির সম্বন্ধ আলোচনা করিবার পূৰ্ব্বে পৃথিবীর আকর্ষণ উদ্ভিদদেহকে কি প্রকারে উত্তেজিত করে দেখা আবখ্যক ; এবং তাহার পর সেই উত্তেজনা দ্বারা কি প্রকার কার্য্য পাওয়া সম্ভাবনা, তাহা বিবেচ্য। পাঠক অবগুই জানেন, যে জিনিধের সামগ্ৰী পরিমাণ প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । (Mass) যত অধিক হয়, তাহার ভারও তত অধিক দেখা যায়। বহুসামগীসম্পন্ন জিনিষকে ভারি বলিয়া অনুভব করানই, ভূমধ্যাকর্ষণের একমাত্ৰ কাৰ্য্য। সুতরাং গাছের বৃদ্ধির উপর পৃথিবীর আকর্ষণের কথা আলোচনা করিতে হইলে, গাছের কোষগুলির (Cells) গুরুত্বের কাৰ্য্য অনুসন্ধান অবিশ্রাক । ভূমধ্যাকর্ষণের ফলে উদ্ভিদদেহ কি প্রকার উত্তেজনাপ্রাপ্ত হয়, তাহী স্থির করিবার জন্য গত শতাব্দীতে কতকগুলি বৈজ্ঞানিক ঠিক পূৰ্ব্বোক্ত প্রথায় গবেষণা আরম্ভ করিয়াছিলেন, এবং তাঙ্গরি ফলে এই প্রসঙ্গে দুষ্টটি পৃথক মতবাদের সষ্টি ইষ্টয়া পড়িয়াছে। একদল পণ্ডিত স্থির করিয়াছিলেন, উদ্ভিদ-কোযে যে রস ও শ্বেতসার (starch) প্রভৃতি পদার্থ সঞ্চিত থাকে, তাতার ভর উদ্ভিদদেচের উপরের ৪ নীচের অংশে বিভিন্ন পরিমাণে চাপ দেয়। কাজেই ইহাতে কতকগুলি কোষ, অবশিষ্টগুলি অপেক্ষ অধিক উত্তেজিত হইয় পড়ে। ১ম চিত্রটি C D C | A ১ম চিত্র । দুষ্টটি কোষের ছবি । যখন কোন ও গাছের ডালকে জোর করিয়া শুয়াইয়া রাখা হয়, চিত্রের দক্ষিণ পাশ্বস্থ অংশের স্তায় তাহার কোযগুলি শুষ্টয় পড়ে। ডাল স্বাভাবিক অবস্থায় খাড়া থাকিলে, কোষগুলিও বামপাশ্বের ছবিটির হায় খাড়া হইয়া থাকে। জিনিষের ভার, তাহার ভূসংলগ্ন অংশেষ্ট কার্য্যকারী হয়, কাজেই "শায়িত কোষের “ID" চিহ্লি ত অংশের উপরকার চাপ, “C” চিহিত অংশ অপেক্ষ অধিক হইবারই কথা। বামের কোষটিতেও “A” স্থান অপেক্ষ “B” স্থানে অধিক চাপ পড়িবার সম্ভাবনা । একই কোষের উদ্ধ ও অধঃ প্রাচীরের উপরকার এই প্রকার চাপের বৈচিত্র্য দেখিয়া, উক্ত পণ্ডিতগণ ইহাকেই ভূমধ্যাকর্ষণের উত্তেজনা বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন।