পাতা:প্রভাত সংগীত-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
প্রভাত সংগীত
১১

আজি এ প্রভাতে কী জানি কেনরে
জাগিয়া উঠেছে প্রাণ।
জাগিয়া দেখিনু চারিদিকে মোর
পাষাণে রচিত কারাগার ঘোর,
বুকের উপরে আঁধার বসিয়া
করিছে নিজের ধ্যান
না জানি কেনরে এত দিন পরে
জাগিয়া উঠেছে প্রাণ।

জাগিয়া দেখিনু আমি আঁধারে রয়েছি আঁধা
আপনারি মাঝে আমি আপনি রয়েছি বাঁধা।
রয়েছি মগন হয়ে আপনারি কলস্বরে,
ফিরে আসে প্রতিধ্বনি নিজেরি শ্রবণ পরে।
গভীর—গভীর গুহা, গভীর আঁধার ঘোর,
গভীর ঘুমন্ত প্রাণ একেলা গাহিছে গান,
মিশিছে স্বপন-গীতি বিজন হৃদয়ে মোর।
দূর—দূর—দূর হতে ভেদিয়া আঁধারকারা,
মাঝে মাঝে দেখা দেয় একটি সন্ধ্যার তারা।
ঘুমায়ে দেখিরে যেন স্বপনের মোহমায়া,
পড়েছে প্রাণের মাঝে একটি হাসির ছায়া।
তারি মুখ দেখে দেখে, আঁধার হাসিতে শেখে,;
তারি মুখ চেয়ে চেয়ে করে নিশি অবসান;
শিহরি উঠেরে বারি, দোলেরে—দোলেরে প্রাণ,
প্রাণের মাঝারে ভাসি, দোলেরে—দোলেরে হাসি,