পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস ও নদীর বিবরণ। > * নিমিত্ত পদার্থবিদ্যাব্যবসায়িরা ঐ তিন প্রকার গড় নিরুপিত করিয়া থাকেন। মানচিত্রে “উষ্ণ-সমসূত্রবর্তী” “গ্রীষ্ম সমসূত্রবর্তী” ও “ শীত-সমসূত্রবর্তী” এই তিন প্রকার রেখা অঙ্কিত হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বকালে অনেকের বোধ ছিল যে যে সকল দেশ সম অক্ষাংশের উপর স্থিত আছে, তৎতাবতের উষ্ণতা তুল্য, কিন্তু সে ভুম মাত্র ; গ্রীষ্মজ্ঞাপক মানচিত্রে দৃষ্টি করিলে তাহা স্লষ্ট ব্যক্ত হইবে। পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে, সমসূত্রস্থ হইলেই দেশের শীত গ্রীষ্ম তুল্য হইবে, এমত নহে; অবস্থা ভেদে কোন ২ সময়ে অত্যন্ত শীত বা গ্রীযু হইলেও সেই দেশ মধুর-শীত-গ্রীষ্মবিশিষ্ট-দেশের সহিত সমসূত্রে অবস্থিত হয়। কলিকাতায় অত্যন্ত গ্রীষ্ম-সময়ে উষ্ণতা ১০০ তাপা^শের অধিক ও শীতকালে ৫০ তাপা^শের নূ্যন হয় না। পিকিন নগরে গ্রীষ্মকালে ১১ তাপাশি উষ্ণতা ঘটে, অথচ শীতকালে সৰ্ব্বত্র বরফে আবৃত হতীয় উষ্ণতা ৩০ তাপা^শ হয়। ভারতবর্ষের স্থানে ২ গ্রীষ্মকালে উষ্ণতা ১১০ বা ১১৫ তাপা৯শ হইয়া থাকে, কিন্তু শীতকালে তথায় বরফ পড়ে না। আফরিকার মরুভূমিতে উষ্ণতা ১২৫ তাপাশ দৃষ্ট হইয়াছে ; ঋতুর ক্রমে, বোধ হয়, তাহাহক্টতে অধিক উষ্ণতা কুত্রাপি দৃষ্ট হয় নাই। স্থান-বিশেষে উষ্ণতার অত্যন্ত হ্ৰাস হয় ; অনেক স্থানে সমস্ত শীতকালে জল জমিয়া থাকে। সিবিরিয়াদেশে পারদও জমিয়া যায় ; কুইবেক নগরেও তদ্ধপ ঘটে। হড়সন-হ্রদের তটে পারদ তাপমান-যন্ত্রের * প্রথম সঙথ্য

  • তাপমান-যন্ত্র নানাপ্রকার হইয় থাকে, তন্মধ্যে পারদ• তাপমান-যন্ত্র ও মদ্য তাপমান-যন্ত্রই প্রধান।