পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস ও নদীর বিবরণ। У o N জুলাই মাসীয় ১৩ই দিবসে প্রাতে ৮ টার সময়ে, পরে ১৭২০ অব্দে, তৎপরে ১৭৪৭ অব্দে, এব^ তৎপরে ১৮০৩ আবেদর আপ্রেল মাসের ১১সে মেঘগজন হইয়াছিল । পিরুদেশের নিম্নভাগস্থ মনুষ্যের মধ্যে ২ বিদ্যুৎ দেখিতে পায়, কিন্তু মেঘগৰ্জ্জন কাহাকে বলে তাহা তাহাদের প্রায়ঃ বোধ নাই, কারণ শতবর্ষের মধ্যে তাহাদিগের দেশে দুই একবার বৃষ্টি হয় । বড় বৃষ্টি নাই বলিয়া তাহার কাগজের ঘরের ন্যায় এতাদৃশ ক্ষণভঙ্গুর গৃহ নিৰ্ম্মিত করে যে তাহা দুই এক পসল বৃষ্টিতেই বিনষ্ট হয় ; এই প্রযুক্ত ৩০৪০ বা ৫০ বৎসরান্তে দৈবাৎ দুই চারি দিন বৃষ্টি হইলে, তত্ত্বদেশে ভয়ানক উপদুব ঘটিয়া থাকে। পরন্তু বৃষ্টির পরিবৰ্ত্তে তথায় “গরুয়া” নামক এক প্রকার কোয়াসা আছে ; কোন ২ দিবস পূৰ্ব্বাহ্নে তাহ সমস্ত নভোমণ্ডল আচ্ছন্ন করিয়া রাখে, তৎকালে সূৰ্য্যদেৰ চন্দ্রের ন্যায় বোধ হয়। পরে রজনীযোগে ঐ কোয়াসা প্রচুর শিশিরকুপে তদেশোপরি নিপতিত হয় । পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে গ্রীষ্মাপেক্ষায় শীতকালে অধিক ৰাষপ উত্থান করে । ঐ বাষেপর কিয়দ°Nশ মেঘরুaেপরিণত হয়। অপরাংশ নভোভাগে শীত-বায়ুর সম্পস্নশে ঘনীভূত হইয়া শিশির বা কোরালারুপে ভূমিতে নিপতিত হয় ; শীতের প্রাথর্য্য হইলে তাহ হিম বা তুষার রূপ ধারণ করে। দেশীয় উষ্ণতার বর্ণন-সময়ে উক্ত হইয়াছে, গ্রীষ্মমণ্ডলই সৰ্ব্বাপেক্ষায় উষ্ণ, তথাহইতে যত কেন্দ্রাভিমুখে অগ্রবৰ্ত্তি হওয়া যায়, ততই শীতের বৃদ্ধি হয়, সুতরাণ ইহা অনায়াসেই অনুভূত হইতে