পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃষ্টির বিবরণ। Y S S) প্রস্তুর ভয়ানক-বেগে উৎক্ষিপ্ত করিয়া থাকে, ও দিবারাত্রি ধূম উদীরণ করিতেছে ; অথচ তাহার সব্বাঙ্গ অতিস্থল হিমশিলায় মণ্ডিত, কুত্ৰাপি এক মুষ্টি মাত্র মৃত্তিকাও দৃষ্টিগোচর হয় না। পূৰ্ব্ব-বর্ণনানুসারে বোধ হইতে পারে যে গ্রীষ্মমণ্ডলস্থ পৰ্ব্বত মাত্রেতেই তিন মণ্ডলের প্রাক্তধৰ্ম্ম প্রত্যক্ষ হইবে, কিন্তু তাহ যথার্থ নহে। যে সকল পৰ্ব্বত অত্যন্ত উচ্চ তাহাতেই ঐ ঘটনা দৃষ্টিগোচর হয়, নিম্ন পৰ্ব্বতে তাহা অনুভূত হয় না। ফলতঃ নিরক্ষবৃত্তের নিকটহইতে কেন্দ্ৰ-পৰ্য্যন্ত যেমন ক্রমশঃ উষ্ণতার হাল হয় পৰ্ব্বতের উচ্চতানুসারে সেই মত ক্রমশঃ উত্তাপেরও লাঘব হইয়া থাকে। হিমালয়-পৰ্ব্বতের ৪–৫ সহসু-হস্তোৰ্দ্ধ পৰ্য্যন্ত তুষার দৃষ্ট হয় না, এবণ তথাকার শীতও সমভূমির শীতের তুল্য ; তদূৰ্দ্ধে ক্রমশঃ শীতের ও তুষারের বৃদ্ধি আছে, দশসহসু-হস্ত-উচ্চ-স্থানে বর্ষের ৮। ৯ মাস শীত ও নীহার থাকে, তদুৰ্বে আরও শীতের বৃদ্ধি হইয়া দ্বাদশ-সহসু-হস্ত উচ্চ স্থানে শীত বা নীহারের বিশ্রাম হয় না, তৎস্থান অবধি হিমালয়ের অগ্রভাগ-পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বত্র চিরক্সমাহারাবৃত থাকে, গিরিরাজ ঐ শুক্ল টোপর কদাপি চু্যত হন না। অপর মনুষ্যমস্তকে টোপর ধারণ করিলে যে প্রকারে মস্তক ও টোপরের মিলন স্থানে টোপরের সীমা জ্ঞাপক রেথ অনুভূত হয়, তেমনি ঐ গিরিশিখরে ও চিরনীহারের সীমানিরূপক রেখা নিদিষ্ট আছে ; গ্রীষ্মকালে সেই রেখার নিম্ন-স্থানস্থ সকল নীহার গলিয়। যায়, কিন্তু সেই রেখার উৰ্দ্ধস্থ নীহার বিকৃত হয় না।