পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাকৃত-ভূগোল । * 8 Go অাপ্ত বোধ হইতে পারে যে, জাতির অবান্তর-ভেদ নাই ; কিন্তু ফলতঃ তাহা নহে। বিলাতি ককুদ-বিহীন গো, হবিয়ান-প্রদেশের বৃহদ গো, এব^ এতদেশীয় গোর মধ্যে ঈষদ অবান্তর-ভেদ আছে ; কিন্তু তন্ধেতুক তাহাদিগকে পৃথগ-জাতি কহ যায় না; কারণ হ্রস্বত্ব দীর্ঘত্ব বা বর্ণের ভিন্নতায় জাতির বিভেদ সম্ভবে না; তাহাকে বর্ণভেদ শব্দে কহাই প্রসিদ্ধ রীতি । প্রদত্ত দৃষ্টান্তে জাতি ও বর্ণের প্রভেদ অনায়াসেই অনুভূত হয় ; কিন্তু সৰ্ব্বদা জাতি ও বর্ণের ভিন্নতা-নিরূপণ করা সহজ নহে; বিশেষতঃ মনুষ্য-সম্বন্ধে ঐ শব্দদ্বয়ের প্রকৃতার্থে প্রয়োগ করা অতি কঠিন। ডাক্তর প্রিচার্ড সাহেৰ লেখেন, “ যে সকল জীবের পরমায়ুর নির্দিষ্টকাল তুল্য ; যাহাদিগের ইন্দ্রিয়-সকল একই রূপে স্ব ২ নিদিষ্ট কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহিত করে ; যাহার একপীড়ায় পীড়িত হয়, এব^ এক মারী-ব্যাধিতে নিহত হয়, তাহাদিগের বর্ণের ব: র ভিন্নতা থাকিলেও তাহার একজাতীয় অর্থাৎ একপূৰ্ব্বপুরুষহইতে উৎপন্ন, ইহা স্বীকার করা কৰ্ত্তব্য ”। মনুষ্যপ্রতি এই লক্ষণ প্রয়োগ করিলে বোধ হয়, মনুষ্য মাত্রেই এক জাতীয় ; মোগল, হিন্দু, মালাই প্রভৃতি শব্দ কেবল বর্ণভেদজ্ঞাপক ৷ পূৰ্ব্বকালের পূজ্যবর শাস্ত্রকারদিগের এই অভিপ্রায় ছিল ; তাহারা লেখেন বুস্কার সন্তান মনু, তৎসন্তান প্রজাপতিগণ, তৎসন্তান মনুষ্যমাত্র। খ্ৰীষ্টীয়ানও মুসলমান ধৰ্ম্মশান্ত্রেরও এই অভিপ্রায় ; তাহাতে লিখিত আছে, যে জগদীশ্বর আদৌ আদম ও ঈৰ নাম এক মনুষ্যমিথুন সৃষ্ট করেন, তাহাহইতে সমস্ত