পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমির হাস বৃদ্ধি। SY দ্বারা আনীত হইয়া নদীর অগ্রভাগের উভয় পার্থে নিক্ষিপ্ত হয় ; অতএব নদীর মুখে সৰ্ব্বদাই চর জন্মিতেছে। নদীর গভমধ্যে স্থানে ২ চর উৎপন্ন হওনের কারণও অন্য কিছু নহে। সমভূমিতে নদীগর্ভের বক্রতাক্রমে সৰ্ব্বদা তট ভগ্ন হইয়া থাকে, তজ্জাত মৃত্তিকাদ্বারাও চর উৎপন্ন হয়। নদীর সাগর-সঙ্গম স্থানে যে সকল চর উম্ভব হয় তদুপরি সমুদ্র তরঙ্গদ্বারা আমাত বালুক নিক্ষিপ্ত হইয়া ত্বরায় তাহার উচ্চতা বৃদ্ধি হয়, এব^ ক্রমশঃ মনুষ্যাবাসের যোগ্য হয়। এই কারণ বশতঃ নদীর সম্মুথস্থ সমুদ্র ক্রমশঃ ভূমিসাৎ হইতেছে । মিসর দেশের সমুদ্র-তটস্থ-ভূমি এই প্রকারে উৎপন্ন হইয়াছে। সহসু বৎসর হইল তদেশীয় সমুদ্র-তটে রসেট ও ডামিএটা নামক দুই নগর সম্পস্থাপিত হইয়াছিল । তৎপরে ক্রমশঃ তৎসমুথে চড়া পড়িয়া অধুনা ঐ নগরদ্বয় সমুদ্রতটহইতে তিন ক্রোশ অন্তরস্থ হইয়াছে। খ্ৰীষ্টাব্দের ৯০০ বৎসর পূৰ্ব্বে নীল-নদীর মুখ-নিকটে সমুদ্রের একটা বৃহৎ খাড়ি ছিল ; পূৰ্ব্বোক্ত কারণে তাহ ক্রমশঃ হ্রদরূপে পরিণত হয় ; পরে বালুকাদ্বারা পরিপূর্ণ হইয়া এইক্ষণে লুপ্ত-প্রায়ঃ হইয়াছে। ইউরোপখণ্ডে রীণ, রোণ ও পো-নদীর মুথে প্রস্তাবিত প্রকারে অল্পকালমধ্যে অনেক ভূমি উৎপন্ন হইয়াছে। পূৰ্ব্বকালে শেষোক্ত নদীর মুথে সমুদ্র তটে আড়িয়া নামক এক নগর ছিল ; অধুনা তাহ সমূদ্রহইতে ১০ ক্রোশ অন্তরস্থ হইয়াছে। অপর এতদ্বিষয়ের প্রমাণ নিমিত্ত অতি দূরে ভুমণ করিবার আবশ্যক নাই ; প্রায়ঃ আমাদিগের গৃহদ্বারেই ইহা