পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎস ও নদীর বিবরণ । ৬ ৭ প্রবাহিত হইয়া থাকে। ঐ নদী-সকলের উৎপত্তি স্থানের মধ্যে যে ব্যবধান থাকে তাহার প্রত্যেক দিক তদিকৃস্থ নদীর “জলকর-ভূমি ” নামে খ্যাত। নদীমাত্রেই উচ্চ স্থানে উৎপন্ন হইয়ণ সাগর বা বৃহৎ হ্রদের অভিমুখে গমন করে ; কিন্তু সকলেই সাগর-পৰ্য্যন্ত উত্তীর্ণ হইতে পারে না ; পথিমধ্যে অন্য-নদীর সহিত মিশ্রিত হক্টয়া যায় । যে সকল নদী অাপন গন্তব্য সাগর বা হুদ পর্য্যন্ত গমন করে, তাহারণ “প্রধান৷ ” বা “ সাগরগা ”, ও যে সকল নদী ঐ প্রধানগর গর্ভে আসিয়া নিপতিত হয়, তাহারা তাহার “ অধীন।” বা “নদীবাহিনী’ নামে খ্যাত । গঙ্গা হিমালয়ে উৎপন্ন হষ্টয়া সমুদ্র-পর্য্যন্ত বিস্কৃত, এপ্রযুক্ত তাহা প্রধান-নদী-নামে খ্যাত ; যমুনা, শোণ, গণ্ডক চৰ্ম্মণুত প্রভৃতি নদ-নদী সকল গঙ্গায় নিপতিত হয়, সুতরাণ তাহারা গঙ্গার অধীন। ঐ অধীন নদ-নদী-সকল আপনাদিগের জল প্রধান নদীতে সমপণ করে, এই হেতু লোকে তাহাদিগকে “ করপ্রদায়িনী নদী ” শব্দেও বর্ণন করিয়া থাকে। ঐ করপ্রদায়িনী ও প্রধান নদীসকল যে স্থানদিয়া ভুমণ করে, তৎসমুদায়কে ঐ প্রধান নদীর “প্রদেশ ” শব্দে অাখ্যান করি । উক্ত প্রদেশে বৃষ্টিদ্বারা যে জল পতিত হয়, তৎসমুদায় এ প্রধান নদীদ্বারা সমুদ্রে নীত হইয়া থাকে ; সুতরা^ ঋতু ও কালানুসারে তাহার বেগ ও গভীরতার অন্যথা হয় ; বর্ষাকালে নদীতে যে পরিমাণে জল থাকা সম্ভাবনা, অন্য-সময়ে তাহা হইতে পারে না। ঐ জল-বৃদ্ধির অপর এক