পাতা:প্রাকৃত ভূগোল.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বায়ুর বিবরণ। כר মুখে, ও রাত্রিতে ভূমিহইতে সমুদ্রাভিমুখে, বহিয়া থাকে। এই প্রকরণের এ পর্য্যন্ত যাহারা মনোযোগপূৰ্ব্বক পাঠ করিয়াছেন তাহারণ এই ঘটনার কারণ অনায়াসে বুঝিতে পারিবেন। সূর্য্যোদয় অবধি জল অপেক্ষায় ভূমি শীঘু উত্তপ্ত হইতে থাকে, সুতরাণ ভূমির বায়ু তপ্ত হইয়। উদ্বে উঠিতে থাকে; ও সমুদ্রের বায়ু আকর্ষণ করিয়া ভূভাগে আনয়ন করে। রজনীতে জল অপেক্ষায় ভূমি শীঘু শীতল হয়, তথা দিবসের বিপরীতে রাত্রিতে ভূভাগের বায়ু সমুদ্রাভিমুখে যাইতে থাকে। এই বায়ু প্রবাহদ্বয়ের নাম “ সমুদ্রবায়ু” ও “ ভূমিবায়ু”। ইহা কেবল সমুদ্রতট-সন্নিকটেই অনুভূত হয়। যে কারণ-প্রযুক্ত কোন স্থূল পদার্থোপরি লোষ্টাঘাত করিলে ঐ লোষ্ট স্থূল-পদার্থহক্টতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করে, বায়ুও সেই কারণের অধীন : এই প্রযুক্ত বায়ু প্রবাহ পৰ্ব্বত বা প্রাচীরাদি কোন পদার্থে আহত হক্টলে সেই পদার্থহইতে প্রত্যাৱৰ্ত্তন করত, আদৌ যে দিগে ভুমণ করিতে থাকে তাহাহক্টতে অন্য দিগে যায়। বিপক্ষাভিমুখ দুই বায়ুপ্রবাহ পরল্পর আহত হইলেও এই ঘটনা সম্ভৰে, এব^ তাহাতে প্রায়ঃ ঘুর্ণিবায়ুর উৎপত্তি করে । কোন এক স্থান হঠাৎ বায়ু-শূন্য হইলে তৎস্থানপূরণার্থে চতুৰ্দিগহইতে যে বায়ু ধাবমান হয়, তাহাতেও ঘূর্ণিবায়ু উৎপন্ন হয়। ঘূর্ণিবায়ুর উৎপাদনাৰ্থে আকাশমণ্ডলে বিদুতৎসম্বন্ধীয় অন্যান্য কারণও আছে ; কিন্তু তাহার বিশেষ ক্রম অদ্যাপি উদ্ভাবিত হয় নাই। এই ঘূর্ণি বায়ু অল্প পরিসর হইলে "ধূলিধ্বজ” নামে বিখ্যাত হয়।