পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ৯১ পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, মুসলমানদের সমধিক যত্বেই এই সাহিত্য রক্ষিত হইয়াছে । কবিগণের মধ্যে হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের লোক আছেন, কিন্তু গায়েন অধিকাংশই মুসলমান । কতকগুলি গীতিকার প্রতি লক্ষ্য করিলেই তাহ বোঝা যাইবে - (১) “মাঞ্জুর মা” নামক উৎকৃষ্ট কাব্যখনি মুসলমানদের রচিত ; ইহা নগেন্দ্ৰ নাথ দে এক মুসলমান গায়েনের নিকট হটতে সংগ্ৰহ করিয়াছেন। (২) “কগফন চোরা” পালাটিও একটি অতীব কৌতুহলপ্রদ, ঐতিহাসিক রহস্তপূর্ণ, কাব্য-শ্ৰীমণ্ডিত গীতিক ; ইহার রচক মুসলমান । শ্রীযুক্ত আশুতোষ চৌধুরী এই গানটি চট্টগ্রামের পটিয়া থানার অন্তর্গত হাইদগানিবাসী সেকেন্দর গায়েন, বোয়ালখালী থানার ধেলের নিবাসী আলিয়র রহমান এবং কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত চরচক্তাই গ্রাম নিবাসী ওজু পাগলা এই তিন জন মুসলমান গায়েনের নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছেন। পল্লী-গীতিকার কৌস্তভ স্বরূপ (৩) “মহুয়া” পালাটি শ্ৰীযুক্ত চন্দ্রকুমার দে নেত্রকোণার অন্তর্গত মস্কগ্রাম নিবাসী ৮০ বৎসর বয়স্ক সেখ আসক আলি ও মন্দিকোণার নিকটবৰ্ত্তী ঘোরালি গ্রামবাসী নস্থ সেখের নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন । (৪) “চাদ বিনোদের পালা” বা “মলুয়া গীতিকা" চন্দ্রকুমার অপরাপর কয়েকজন গায়কের মধ্যে ময়মনসিংহের বাজীতপুর-নিবাসী কাছ সেখ এবং মঙ্গল-সিদ্ধি গ্রামবাসী নিদান ফকিরের নিকট আংশিক ভাবে পাইয়াছিলেন। (৫) “দেওয়ান মদিন৷” গীতিক জালাল গায়েনের আবৃত্তি হইতে প্রাপ্ত । (৬) ভারাইয়। রাজার কাহিনী” চন্দ্রকুমার দে মূলতঃ দুইজন গায়েনের নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন – ময়মনসিংহের অন্তর্গত মুক্তাগাছাবাসী নাজির ফকির এবং সেই গ্রামবাসী আর একটি ফকির,–চন্দ্রকুমার তাহার নাম লেখেন নাই। (৭) বীর নারায়ণ"-এর পালাটি শ্রীযুক্ত নগেন্দ্র চন্দ্র দে মুক্তাগাছাবাসী সেখ পানা