পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> o প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান বাস্থর বাড়ী যাইয়া বলে বৈদ্য তিনকড়ি। তোমার মা যে ভাল হবে খাইয়া তিন বড়ি। আইজ দিবা বলের ছাল, আর নিমপাতার ঝোল। কাইলকা দিবা গরম কইরা সজ-ভিজাইন জল ॥ পশু দিব লাল বড়িটা কাঞ্জী দিয়া গুইলা । তশু দিব নীল বড়িটা কুঁয়ার পানি তুইলা। শেষাশেষি দিবা বাস্থ এই না ধলা বড়ি। আরাম হইবে তোমার মা থাকবে না জ্বর-জারি। চাকুইল ধানের ভাত খিলাইও, শরীরে ঢাইল জল। ধলা বড়ি খাওয়াইলে দিও তেঁতুলের অম্বল ।” .# x “কবিরাজের কথা শুইন বাস্থ নিল বড়ি । বিদায় হবার সময় হয় যে কৈল তিনকড়ি ॥ এক কুল চাইল দিল, ডাইল এক কুল। গাছের থনে তুইলা দিল বাগুন-মরিচ কলা ॥ হলদি দিল, লবণ দিল পেট বইরা তেল। বিদায় পাইয়া কবিরাজ হাস্তে হাস্তে গেল ॥ সইন্ধ্যা বেলা বাস্থর মা যে চক্ষু মেইল চাইল। জন্মের মত বাস্থকে ফেইলা সগগে চইলা গেল।” এইদিকে বাস্থ ও কানুর দম্বা-বৃত্তি, মানুষের জীবন লইয়া নিষ্ঠুর খেলা, নৃশংস-বৃত্তি, অপরদিকে—অতি দরিদ্র, অতি স্নেহাতুর আদর্শ সতী, আদর্শ মাত বাস্থ জননীর ধৰ্ম্ম-ভীরুতা ও অসহ্য পরিতাপ ও শোকাবহ মৃত্যুর ছবি-বাঙ্গালার কুটীরের এই চিরন্তন সম্পদ ।