পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS “দেইখাছি গোঞ্জের ঘাটে, আজ দেখলাম খালে। আমার দেবতা আইছে আজ আমার কপালে।” রূপসী মাণিকতারাকে বিবাহ করিয়া বামু সোয়াস্তি পাইতেছে না। সে-যে ডাকাতি করিয়া খায়, ইহা শুনিলে যদি পত্নী বিরক্ত হ’ন ! অথচ সে এতটা অগ্রসর হইয় দল বাধিয়াছে যে, সে এই বৃত্তি আর এখন ছাড়িতে পারে না । সে সৰ্ব্বদাই বিষঃ হইয়া আনমন হইয়া থাকে, মাণিকতারার চক্ষে এইভাব এড়ায় না, সে একদিন স্বামীকে ধরিয়া পড়িল এবং তাহার হৃদয়ের গুপ্ত-ব্যথ প্রকাশ করিতে জেদ করিয়া বসিল । তখন বাস্থ ধীরে ধীরে তাহার দুস্কৃতির কথা জানাইল এবং গৃহে মাটীর নীচে সঞ্চিত অজস্র অর্থ দেখাইল । মাণিকতারার নৈতিক-আদর্শ প্রশংসনীয় না হইলেও সে ছিল আদর্শ সতী । সে বলিল—“স্বামীর যে গতি, আমারও সেই গতি। তুমি ধরা পড়িয়া জেলে যাইবে কিংবা র্যাসিতে ঝুলিবে আমি কি তাত নীরবে দেখিব ? আমি প্রাণ দিয়া তোমাকে উদ্ধার করিব। তুমি যদি ডাকাত হও, আমাকে তোমার ডাকতনী বলিয়া জানিবে ।” “পতির ভালবাসা পাইলে জুড়ায় নারীর বুক । পতির কাছে আদর পাইলে নারীর সেরা সুখ | পতি যেমন আঁধার ঘরে প্রদীপ হৈয়া জ্বলে। " সাপের মাথার মাণিক পতি সতীর কপালে ॥”. এইবার বাস্থ সোয়াস্তি পাইল । তাহার হারিকেল-পাখীর মাংস খাইবার সাধ হইল। মাণিকতার বাপের বাড়ী হইতে তাহার তীর-ধনু আনাইয়া দুইটা হারিকেল-পাখী একবারে শিকার করিল ; বামু তাহার এ-বিষয়ে কৃতিত্ব দেখিয়া বিস্মিত হইল। মাণিকতারা বলিল—“দারু আর কুমার কোচ থাকত রাজার বাড়ী ।” তাহদের কাছে ছোট বেলায় সে তীর-ধনুকের অদ্ভুত শিক্ষা লাভ করিয়াছে।