পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Rb" প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমেেনয় অবদান পাইয়াছে । এবম্বিধ পরগাছার অধিকাংশই যে অল্পকালস্থায়ী হইবে, তাহ। সহজেই বোঝা যায় | ‘ভেলুয়ার পালা’টি বৃহৎ, ১১০৭ পংক্তিতে সম্পূর্ণ। ইহার আখ্যায়িকভাগ বহু ঘটনা-পূর্ণ। আমাদের স্থান ও সময়াভাবে, অতি সংক্ষেপে এতৎ সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করিয়া সাইধ । আমির সদাগর বাণিজ্যযাত্রার পূৰ্ব্বে তাঙ্গার মাস্তুত ভগ্নীর পাণিগ্রহণ করে । সে স্থত্রে এই বিবাহ হয়, তাত কৌতূহলোদ্দীপক । ভেলুয়ার পোষা হিরণী’ নামক পাখীটিকে আমির গুলি করিয়া মারিয়াছিল, এই অপরাধে তাহাকে ভেলুয়ার পাতার তাঙ্গদের বন্দীশালায় জোর করিয়া আনিয়! উৎপীড়ন করে ; তাহার মাসীম জানিতে পারেন যে, তরুণ আমিব তাহার কনিষ্ঠ সহোদরার পুত্র । তখন তিনি তাহাকে বন্দীশালা চইতে আনিয়া অতি আদরে স্বীয় কস্ত। ভেলুয়ার সহিত বিবাহ দেন, কারণ তিনি তাতার কনিষ্ঠ ভগ্নার নিকট প্রতিশ্রুত ছিলেন দে, তাহার কষ্ট হইলে তাঙ্গার পুত্রের সহিত বিবাহ দিবেন । আমির ভেলুয়াকে লইয়া স্বগৃহে ফিরিয়া আসে । তাহার বিভলা নাম্নী এক অতি কুরূপ ও দুষ্ট-চরিত্ৰা ভগ্নী ছিল । ভেলুয়ার রূপ ও আমিরের উপর প্রতিপত্তি দেখির সে ষড়যন্ত্রপূৰ্ব্বক ভ্রাতাকে পুনরায় বাণিজ্যে পাঠাইল এবং ভেলুয়াকে নানারূপ অসহ্য কষ্ট দিয়া বাড়ীর বাহিরের অতি হীন-কার্যে নিযুক্ত করিল। এই দুরবস্থায় জল আনিতে যাওয়ার সময় ভোল সদাগর তাহাকে জোর করিয়! নিজ গৃহে লইয়া যায়। নানা প্রলোভনেও ভেলুয়া বশীভূত না হওয়াতে, ভোলা বলপূৰ্ব্বক তাহার উপর অত্যাচার করিতে উষ্ঠত হয়। বিপদে পড়িয়া ভেলুয়া তাহার নিকট হইতে ছয় মাস সময় চাহিয়৷ লয় এবং ঐ সময়ের পরে, তাহাকে স্বেচ্ছায় নেকাহু করিবে, এই মিথ। প্রতিশ্রুতি দেয় ।