পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ン ○o প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান তোমার লাইগ্যা বারে বারে কে করে হাঙ্গাম। প্রতিদিন এজ লাসে আমার আছে কাম ॥ আমার ঘরে থাকুক বিবি, সুখে খাইবে ভাত । সোনার পালঙ্কের মাঝে শুইবে দিনরাত ॥” মুনাপ কাজির পাইক-পেয়াদার আসিয়া আমিরকে 'কোট হইতে তাড়াইয়। দিল । এই বিপদাপন্ন অবস্থায় আমির বহু পথ পয্যটন করিয়৷ স্বীয় গ্রাম সাকুল্য বন্দরে আসিয়া পিতা মাণিক সদাগরকে তাঙ্গার সমস্ত কথা জানাইয়। পায়ে ধরিয়৷ পড়িল, পিতামাত। ক্রোধে আগুন হইয় গেলেন । মাণিক সদাগরের আদেশে তখনই ১৪ কাহণ (১১২০) রণ-নৌকা, বহু পদাতিক ও বন্দুকধারী, দীর্ঘ-গুম্ফ পশ্চিমা-ফৌজ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইল । তাঙ্গার কাজির ‘কাট্টালির বাক’ নামক সচর একেবারে নদীর তলে ডুবাইয়া ফেলিবে, তাঙ্গাদের এই সঙ্কল্প ছিল । এদিকে কাজির গুহে ভেলু্য অতি সঙ্কটাপন্ন রোগের মুখে পড়িল । হঠাৎ কামানগজ্জন ও বহু সৈন্তের আক্রমণে কাজি ভীত হইয়া ভোল। সদাগরের নিকট নুমুমু ভেলুয়াকে পাঠাইয়া দিয়া স্বয়ং নিস্কৃতির চেষ্ট পাইল । সাত দিন কাজি ও ভোল| সদাগরের মিলিত সৈন্তের সহিত আমিরের সৈন্তের মহাযুদ্ধ চলিল— - “সাগরের জল হায়রে করে টলমল আল্লার মুল্লুক ষেন যায় রসাতল ।” শত্রুর হরিয়৷ গেল, ভোলার হাতে ভেলুয়া যে কষ্ট পাইয়াছিল, তাহা আমির সকলই শুনিয়াছিল । ভোলার শিরচ্ছেদ হইল এবং তাহার মে-গৃহে ভেলুয়৷ নানা যন্ত্রণ পাইয়াছিল সেই স্থানটি ভেলুয়ার নামে চিরস্মরণীয় করিবার জন্ত সদাগরের আবাস-স্থল