পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ○8 প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান পাণ্ড,বর্ণ দেহখানি রক্ত নাহি তায় । পুরুষের মত কেশ হাতে আর পায় ॥ নারীর ছুরত নাই বিভলার অঙ্গে । এই দুনিয়ায় বর্গ নাই তার কারে সঙ্গে । আষাঢ়ে মেঘলার মত লাগে মুখখালি । সে মুখের বাণী যেন চিরতার পানি। এক কথার টুনটুনি দশ কথা করে। দাসী-বাদী কঁপে সদা বিভলার ডরে ॥” এই গীতিকাটায় কবিত্ত্বপূর্ণ ঋতু-বর্ণন, দাম্পত্যের শত শত মধুর চিত্র, চট্টগ্রামের নদ-নদী খাল-বিলের এরূপ জীবন্তু বর্ণন বাঙ্গালী সৈন্তের বীরত্ব ও বাঙ্গালীর ঘদ্ধের পরিচয়, যুদ্ধের বর্ণন, ধনীর ঘরের আসবাব, উচ্চ কুলের মহিলাদের বাসস্থান ও খাদ্যাদির বিলাস, সাজসজ্জার আ ডম্বর, আদবকায়দা এবং গভীর মৌনপ্রেমের এরূপ প্রতিচ্ছবি আছে নে, পাঠক সমস্ত বাঙ্গাল দেশকে, বাঙ্গালার সেকালের দাটি পল্লীকে যেন স্পষ্টভাবে নিজ চক্ষে দেখিবেন । এই কাব্যে সেই সময়ের সামাজিক, রাষ্ট্রনৈতিক ও বাণিজ্যাদির মে হুবহু প্রতিবিম্ব পড়িয়ছে, তাহা সাক্ষাৎদর্শীর নিখুঁত বর্ণনাসস্তুত, কোন ইতিহাস বাস্তব-জীবনের এরূপ ছবি দিতে পারে ন—কবির সহিত ঐতিহাসিকের এই স্থানে প্রভেদ । ৫ । এই পল্লী-সাহিত্যে হিন্দু ও মুসলমানের রচিত এত গাপ আছে সে, তাহা গণিয়া শেষ করা সায় না। ‘নিজাম ডাকাত' এর পালায় সুবিখ্যাত নিজামুদ্দীন আউলিয়ার কাহিনী মুসলমান কবি রচনা করিয়াছেন। নিজাম আউলিয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীর লোক, নান। ফারসী পুস্তকে তহার সম্বন্ধে তত্ত্ব বর্ণিত আছে। এই আউলিয়। পূৰ্ব্বে ডাকাত ছিলেন। তিনি রত্নাকর দস্থার মতই পাপ-জীবনের অবসানে সেখ ফরিদ নামক এক সাধুর কৃপায় স্বয়ং