পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X 88 প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান দৈব-পুব্বিপাকে আবার সাধুর জাহাজ জলে ডুবিয়া যায়, সংবাদ রটে— সাধু মারা গিয়াছেন। আয়ন পাগল হইয়। ঘর হইতে বাহির হইয়া যায়। ভিখারিণী বেশে দেশ-দেশান্তরে ঘুরিয়া স্বামীর লাগ পায় এবং তাহাকে লক্টর গৃহে ফিরিয়া আসে। কিন্তু সে সুখ অদৃষ্ট বরদাস্ত করিল না । তিন বৎসর যে অসহায় রমণী গ্রামে গ্রামে ঘুরিয়৷ বেড়াইয়াছে, পল্লী-সমাজ এমন স্ত্রীকে ত্যাগ করিতে সাধুকে বাধ্য করিল এবং সে সেইরূপ বাধ্যবাধকতায় পড়িয়! আব এক স্বী গ্রহণ করিল : এইবার আয়নার অকথ্য দুঃখের ভাষা ফুরাইয়া গিয়াছে । সে-দুঃখ সে কাহাকেও বলিতে পারিল ন: । সে জঙ্গলে জঙ্গলে না খাইয়৷ ম। ঘুমাইয়। কাটায় । স্বামীর মুখখানি সদ-সৰ্ব্বক্ষণ মনে পড়ে এবং মুক্তার হ্যায় অশ্রু গণ্ডে গড়াইয় পড়ে, বন ফুলের হ্যায় সেই অশ্র অন্তের অলক্ষিতে শুকাইয়া যায় ; বেদেদের প্রাণ আছে—তাহার কোন সমাজের ধার ধারে মা । মানুষের প্রাণ জিনিষটা তাহার। চিনে এবং কাহারও দুঃখ দেখিলে তাপনজনের হ্যায় তাহাকে স্নেহ দিয়। জড়াইয়। ধরে । এইরূপ এক কুরুঞ্জিয়া বেদেদের নৌকায় সে আশ্রয় পাইল এবং বহু দিনের চেষ্টায় সে স্বামীর-পল্লীতে বেদেদের সঙ্গে আসিল— “প্রভাত কালেতে কন্যা কি কাম করিল। কুরুঞ্জিয়া নারীর বেশ অঙ্গেতে পরিল। আগা-ডুরি পাটের-পাছা কোমড়ে বাধিয়া । খোপাতো বাধিল কস্য উপভা করিয়৷ গলায় পরিল কন্যা লয়ণগুঞ্জার মালা । মাথায় তুলিয়া লৈল ৰেশক্তির ছাল । সারবন্দী কুরঞ্জিয়া নারী সঙ্গে সঙ্গে যায়। বেশীতি করিতে তার বাইর হৈল পাড়ায় ।”