পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান S 84 “যারে দেখে তারে সাধু জিজ্ঞাসা যে করে। ফকির হইয়া সাধু দেশে দেশে ফিরে। আয়নার তালাসে সাধু গায় গায় ঘুরে। আয়নার তালাসে সাধু বলে বনে ফিরে। তার হৈল ঝিমি ঝিমি ভাল ফুল হইল বাসি। জন্মের লাগ্য মায়ের পুত্র হইল বৈদেশী ॥” আয়নার পরিণাম ও উজ্জল সাধুর অনুতাপ করুণার প্রস্রবন। এনক আর্ডেন ও এনির কথা বলিতে যাইয় টেনিসন এতট করুণরস স্বষ্টি করিতে পারেন নাই। এনিকে দিয়া ঘটা করিয়! এনকের একট। শ্রাদ্ধ করাইয়া সমস্ত কাব্য-সৌন্দর্য্য মাটী করিয়া ফেলিয়াছেন। এই কবির বর্ষ। বর্ণনাটি দেখুন— “. . . . . . . . . জ্যৈষ্ঠ মাস গেল l জলের যৌবন লইয়া আষাঢ় মাস আইল ॥ কক্ষে কলসী মেঘের রাণী ফেরেন পাড়াপাড়া। আসমানে খাড়াইয়া জমিনে ঢালেন ধারা ॥ কোথা হতে আইল পাগল জোয়ারের জল। ডুবা ডোঙ্গর বাহিয়৷ মূলুক কৈল তল ৷ আষাঢ়িয়া নয়। পানি হৈয়াছে পাগল ॥ কোথা হৈতে আইলরে ঢেউ ফেনা মুখে লইয়। সাধুর ভরণী যায় পাল উড়াইয়া ॥” এই গীতিকাটি ‘ধোপার পাট’ প্রভৃতি কয়েকটি পালার সমসাময়িক এবং চতুর্দশ শতাব্দীতে লিখিত বলিয়া মনে হয় নছর মালুম পালাটিতে কবি লিখিয়াছেন—“এই কাহিনীটি একট। মিথ্য গল্প নহে—ইহা সত্যিকার কথা।” পালাটির রচক এবং গায়ক সমস্তই