পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y (to প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান রূপের ছটা বুকের গোট নারঙ্গার তুল মাথার উপর ঝুটি যেন খুঁটি ধরে বেল-কদম্বের ফুল কানের মাঝে সোনার নাধং * রাস্তা দিয়া যায় মুচকি হাসিয়া তার পুরুষ ভোলায়।” এই গল্পের প্রধান নায়িকা আমিন খাতুন। কত প্রলোভন, কত উৎপীড়ন, কত অবস্থান্তর ও কতরূপ বিপদে পড়িয়া তাহার স্বামীর প্রতি অনুরাগ দেখাইয়াছে—তাহা এই সীত-সাবিত্রীর দেশেরই যোগ্য। এই অনুরাগ কবির পুরোহিতের মতন শাস্ত্র ব্যাখ্যা করিয়া দেখান নাই—এই দেশ সাধবীদের দেশ। হিন্দু-মুসলমান অভেদে এখানে সেই আদর্শ রক্ষা করিয়৷ আসিয়াছেন—বাঙ্গালী গৃহস্থ এতদিন এই সকল দেবী-প্রতিমাকেই পূজা করিয়৷ আসিয়াছে। আমরা এখানে মস্তক নত করিয়। চিরদুঃখিনী, অপার ধৈর্য্যশালা, মুখে বীতস্পৃহা সমুদ্র-প্রমাণ বিপদের মধ্যে আচঞ্চল ধৈর্য্য ও ধৰ্ম্মশীল পতিপ্রেমে পাগলিনী অভাগিনী আমিনাকে শ্রদ্ধাভরে প্রণাম করিতেছি । এই মহীয়সী নারী-মূৰ্ত্তি এমনভাবে বাঙ্গালী কবিরাই বুঝি আকিতে পারিয়াছেন, অন্ত দেশে এরূপ দেবী-প্রতিম দেখিতে পাওয়৷ যায় না। এদেশের জলবায়ুতে এই সকল রমণীর কুসুমাদপি কোমল এবং বজ্ৰকঠোর উপাদানের আবির্ভাব স্বাভাবিক। বসোর। যেমন গোলাপের স্থান, আমাদের গৃহ আঙ্গিনায় এই সকল সাধবীর তেমনি সহজ সুন্দর গতিবিধি । হে মাতঃ, তোমাকে বহুবার দেখিয়াছি, হিন্দুর ঘরে এবং মুসলমানের ঘরে যেখানে দেখিয়াছি— সেইখনেই চক্ষু জুড়াইয়া গিয়াছে, তুমি আমাদের দেশের বহু তপস্যার ফল, আজ কি পাশ্চাত্য হাওয়ায় আমাদের চিরাগত আদর্শ উড়াইয়া লইয়া