পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ) ( ) ৮। নুরস্নেহ ও কবরের কথা’- মুসলমান কবির লেখা, আশুতোষ চৌধুরী কয়েকজন মুসলমান গায়েনের নিকট হইতে পালাটি সংগ্ৰহ করিয়াছেন। ছোটবেলা হইতে নুরস্নেহ ও মালেক—স্নেহ-স্বত্রে বাধ, অনাথ ও নিরাশ্রয় মালেককে প্রতিবেশী আজগরের কন্ত। নুরস্নেহ রাধিয়। দিত ও নানারূপ সেবা করিয়া তাহার মনের কষ্ট ভুলাইতে চেষ্টা করিত । দৈবক্রমে উভয়ের বিচ্ছেদ হয়, মালেক নুরস্নেহাকে ভোলে নাই । কয়েক বৎসর পরে আবার তাহার খোজ পাইয়াছে । গীতিকার মুখবন্ধের দুখে বহুকাল পরে প্রণয়ী-যুগের পূর্ণমিলন এবং মালেক তাহার প্রাণঢাল প্রেম নিবেদন করিল। স্নেহদ্র অপাঙ্গদৃষ্টিতে চাহিয়া নুবুন্নেছা বলিল— “তোমাকে ভুলি নাই, ছোটবেলার প্রেম কি ভোলা যায় ?” ইহার পরে দুইজনের সঙ্গে দুইজনের প্রেম যেমন আবেগ পূর্ণ তেমনই নিষ্কলুষ- দুইজনের বিশ্বাস বিবাহ হইবে, নুরন্নেছার পিত। আজগর মালেকের অনুরাগী সুতরাং প্রণয়ী-যুগলের মন তৃপ্তির পুলকে ভর। । অবস্থার অনেক বিপর্যায় হইল। এই পালাটিতে হাৰ্ম্মাদগণের উৎপাত এবং নায়ক-নায়িকার উপর যৎপরোনাস্তি লাঞ্ছনার যে বর্ণনা আছে, তাহ প্রকৃত ইতিহাসের এক পৃষ্ঠা। হাম্মাদগণ এই ভাবেই দেশময় অত্যাচার করিয়৷ বেড়াইত । কিন্তু শুভ মিলনের মহেন্দ্রক্ষণে বিপদ উপস্থিত হইল। একদা নুরস্নেহার পিতা আজগর মালেককে লইয়া বেড়াইতে চলিয়া গেলেন। তিনি এক বিস্ময়কর রহস্তের উদঘাটন করিলেন। তিনি বলিলেন – “মালেক, তোমার মাকে তোমার পিতা নজু মিঞা নানা লোকের চক্রান্তে পড়িয় সন্দেহের চক্ষে দেখেন। এই সন্দেহ এতটা বদ্ধমূল হয় যে তোমার জন্মের পরেই তিনি তোমার মাকে ত্যাগ করেন, সেই হতভাগিনীকে