পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান )も○ “নিজহাতে বধ করলাম মদিনার প্রাণ এই দুনিয়ায় আর নাই মোর থান। আইসরে পরাণের বিবি কবর ছাড়িয়া কথা কও মোর পালে তাকাও ফিরিয়া । আমি যদি কৈরাছি পাপ রইছ ছাড়িয় পরাণের সুরুজে কেমনে রইলে ভুলিয়া । জমিনের গাছ-বিরিক্ষি আসমানের ভারা আমার পাছেভে হৈল রাইভের আঁধিয়ার । দেওয়ান বিবির লোভে আমি করিলাম বেসাত্তি জমিনের ধূলার লাইগা ছাড়লাম হীরামতি। ছোটকাল হইতে মোর মদিন পরাণি একদণ্ড লা দেখিলে হৈত পাগলিনী। এক সাথে গোয়াইমু কত্ত না বৎসর দোজখে রছিলাম আমি মদিনা বেগর।” তার পরে সেই মদিনার কবরের কাছে এক ডেড়া বাধিল—

  • আর সে বালিয়াচঙ্গে ফিরিয়া গেল না। দুলালের কান্দনেতে পাথর গল্য পানি। জালাল গাইনে গায় দুঃখের কাহিনী।”

আমরা শিক্ষিত-সম্প্রদায় বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের মালিক। খনির মধ্যে খনির দ্যায় আমাদের পল্লীতে পল্লীতে বঙ্গ-ভারতীর যে অজস্র দান পড়িয়া আছে তাহ আমরা দেখি নাই, শুনি নাই—বিদেশী পণ্ডিতেরাও তাহ দেখেন নাই সুতরাং তাহাদের মুখে—ভাল—এই কথাটি না শুনিলে আমরা ভাল বলিব কিরূপে ? এইরূপ শত শত গীতিক ও কথা আছে। তাহাদের