পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান وان ما لا ASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS অনেকগুলি নবম দশম শতাব্দীর ; হিন্দু-মুসলমানের পৃথক ছাপমার তাহারা নয়—তাহার। উভয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব। এই বিপুল ঐশ্বৰ্য্যের মালিক বাঙ্গালী । আমি শুধু মুসলমান কবিদের কয়েকটি রচনার নমুনা দিলাম, তাহাও অতি অল্প সংখ্যক । অপ্রকাশিত বহু গীতিকা আমার কাছেই আছে—বাঙ্গালার পল্লী-দরদী লোক যদি খুজিয়৷ বেড়ান, তবে এখনও বৃদ্ধ গায়েন অনেক আছেন—যাহাদের নিকট হইতে এখনও শত শত কাহিনী ও গীতিকার উদ্ধার হইতে পারে। কিন্তু আমরা ছাত্রদিগকে বিদ্যার্জনের জন্য বিলাতে পাঠাই, তাহার। বঙ্গদেশকে ঘুণ করিতে শিখিয়। আসে । কত সহস্র টাক। বৎসর বৎসর এইভাবে ব্যয় হয়, কিন্তু তাহার যে আমাদের দেশের ক-খ জানে না, অথচ তাহা জানিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বিলাত যাত্রা ও তথায় শিক্ষার্থ নির্দিষ্ট বৃত্তির শতাংশের একাংশ ব্যয়ও পড়ে না। নিজের দেশ না জানিয়া প্রবাসে যাইয়া আমরা ইঙ্গবঙ্গ সাজিয়া আসি ও লক্ষ টাকার অধিকারী আমরা, অথচ একশত টাকার তোড়! দেখিয় বিস্ময়াবিষ্ট হইয়। যাই । হিন্দুদের রচিত—মহুয়া, কাজলরেখা, চন্দ্রাবতী, কমলা, কেনারাম, মালঞ্চমাল প্রভৃতি অনেক গীতিকা ও রূপকথা আছে—মূলতঃ তাহাদের সঙ্গে মুসলমানগণের রচিত কাব্যগুলির প্রভেদ অল্প—একই ধাচের লেখা, একই মুর, একই আদর্শ। একথ। পরে লিখিব ! কিন্তু আমরা মনে করি, আলালের ঘরের দুলাল টেকচাঁদ ঠাকুর কৃত, তৎপূৰ্ব্বে প্রমথ শৰ্ম্মার নববাবু বিলাস’–কিংবা কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতুম প্যাচার নক্সা”—সৰ্ব্বশেষ বঙ্কিমচন্দ্র এবং অতি আধুনিক যুগে রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্ৰ—ইহারাই আমাদের কথা-সাহিত্যের গুরু । কিন্তু এই বিগত এক হাজার বৎসর যাবৎ বাঙ্গালী কথা-সাহিত্যে রাজত্ব করিয়া আসিয়াছেন, তাহার। যে অদ্ভুত প্রতিভা দেখাইয়াছেন, তাহা ঢাকার মসলীন ও সাতৈরের পাটজাতীয়—তাহাদের তুলনা নাই। একবার এইসকল গল্প-কথার