পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান 'טאצ* ভাণ্ডারে প্রবেশ করুন। বিদেশী সমালোচকের প্রকৃত জহুরী—তাহারা এই গল্প-সাহিত্যের যে প্রশংসা করিয়াছেন, তাহা স্তবের মত শোনায় । এই পল্লী-সাহিত্যের বৈশিষ্ট। এই যে—ইহার মূখ-লেখকদের আদর্শ ( বিশেষরূপে প্রেমের রাজ্যে) এত বড় যে, তাহার চূড় হিমগিরির গৌরীশঙ্করের মত আকাশে ঠেকে। প্রেমের দুই মুহূৰ্ত্তের লীলা-খেল, একটি চুম্বন বা কর-স্পর্শের ভিক্ষা করিয়া এই প্রেমের পিয়াসা মিটিয়া যায় না । সমস্ত কথা-সাহিত্যের ভূমাই লক্ষ্য। প্রেমের রাজ্যে এই সাহিত্যের নাম তপস্ত। যাহারা অগ্নিহোত্রী, র্যাহারা জীবনপণ করিয়৷ অরণ্য ও গিরিগুহায় সিদ্ধির জন্ত সাধন করেন বাঙ্গালার পল্লীর প্রেমিকেরা তাহাদেরই সগোত্র । যাহারা তরল আমোদ-প্রমোদে প্রেমের স্বরূপ মনে করেন, তাহারা সিনেমা দেখিতে ঘাইয়। মুহূত্তের কৌতুক উপভোগ করিয়া আমুন, তাহাদের পূর্বপুরুষের যে ভীষণ ভুজঙ্গসস্কুল তড়াগে, কণ্টকাকীর্ণ জলপথে পদ্ম তুলিতে যাইয়। কখনও ডুবিয়া মরিয়াছেন, কখনও একবার পাইয়। আবার হারাইয়। পুনশ্চ পাইবার জন্ত প্রাণপণ তপস্ত করিয়াছেন— তাহাদের এই সাহিত্য রাম-শুমের জন্ত নহে। এজন্ত ডিরেক্টার ওটেন সাহেব 'ইংলিশম্যান’-এ যাহা লিখিয়াছিলেন তাহার মৰ্ম্ম এই—“যদি কোন পাশ্চাত্য সমালোচক সৌভাগ্য বশতঃ হঠাৎ এই গীতিকাগুলির সাক্ষাৎকার পান, তবে ; ইহাতে এদেশের লোকের সংস্কার-মুক্ত মৰ্ম্মকথার পরিচয় পাইবেন—এই অভিজ্ঞতা তাহার কাছে এক নব আবিষ্কারের সন্ধান দিবে, কলিকাতা সহরের শ্রমক্লান্ত-পান্ত সহসা ষ্টীমারে যদি পূৰ্ব্ববঙ্গের বিশাল নদীতে পৌছিয়া বর্ষার উদার হাওয়া উপভোগ করেন, তবে তাহার যেমন সমস্ত ক্লাস্তি অপনোদিত হইয়া এক অপূৰ্ব্ব পুলকে মন পূর্ণ হয়, এই গীতিকা গুলি পাঠ করিয়া আমার তেমনই অপ্রত্যাশিত আনন্দ হইয়াছে।” [To the western critic stumbling by good fortune over