পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

› ዓ br প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান বাপের কালের খাটপালং পূইড়া ভস্ম হয় । ভূমিতে অঞ্চল পাইত সোনা কেমনে রয়। আজ গেছে উপাসেতে কাইল শাক ভাত। ভাইব্য চিন্ত্য মামুদ শিরে দিয়৷ হাত ॥ উপাস-কাপাসে সোনার শুকায় চাদ মুখ। এরে দেখ্যা মামুদের ফাট্যা যায়রে বুক ॥” ক্রমে দুঃখ অসহ্য হইল—এদিকে তাহার দোস্ত মোমিন বাণিজ্যে যাইয়৷ বহু ধনরত্নসহ ছয় মাস পরে ফিরিয়া আসিল । বন্ধুর কষ্ট দেখিয়া তাহার প্রাণ বিগলিত হইয়া গেল । তাহার সাহায্যে অগত্যা মামুদ বাণিজ্যে যাত্র; করিল—“মোমিনের নাও খানি লইল চাহিয়া”—লাউ, কুমড়া ও কচু পসর লইয়। ক্ষুদ্র নৌকাখানি উত্তরে কংস নদী বাহিয়৷ চলিল তাহার এক সম্পন্ন মামা ছিল অনেক কাদিয়া-কাটিয়া মামুদ তাহারই আশ্রয়ে সোনাকে রাখিয়া গেল । “কংস বাহিয়৷ সাধু যায় উত্তর ময়ালে। খোলার ডিঙ্গা তাহার ষেন কংস নদীর জলে ।” একদিন ঝড়ে ডিঙ্গার কাছি ছিড়িয়া গেল, নৌকাখানি চালের শাসন মানিল ন। -অবশেষে ডুবিয়া গেল। জলে ভাসিতে ভাসিতে আধমর অবস্থায় এক ঘোর জঙ্গলে মামুদ আসিয়া পড়িল । সেই বনে এক বিষধর সপ তাহাকে দংশন করিল। দৈবানুগ্রহে এক জঙ্গলিয়া ওঝার কৃপায় সে বাচিয়া উঠিল । সৰ্ব্বদা তাহার সোনাকে মনে পড়িতে লাগিল— “পাখী যদি থাকতরে বিধি যাইতাম উড়ি। পরের ঘরে কেমন আছে আমার সোনা বিবি ॥ আমার শেলার মর্জি-মেজাজ পরে কি জোগায়। কালো মুখে কটুবাক্য তাহারে শুনায়।