পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉brbr প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান যাইবে । কিন্তু দরিদ্র গৃহস্থের এরূপ নিৰ্ভীক চিত্র, এরূপ পরের বিপদকে নিজের বিপদ মনে করা. এরূপ দরিদ্রদের প্রতি দয়া এবং এরূপ সুদৃঢ় ভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ—এসমস্ত গুণ মুসলমান সমাজে এগনও বিদ্যমান। হিন্দুদের অদৃষ্টবাদ, ভক্তি, জড়তা ও কৰ্ম্মক্ষেত্রে দ্যায়-অন্তায়ের প্রশ্নে উদাসীনতা কতকটা বৈশিষ্ট্যে দাড়াইয়াছে । যদি কেহ তাঙ্গদের প্রতি অবিচার করে, তাহারা অদৃষ্ট্রের দোহাই দিয়া ক্ষমাশীল হইয়া থাকে, তাহারা সাপকেও ‘বাস্তু’ বলিয়। তাহার সঙ্গে এক ভিটায় বাস করিতে চায়, তাহারা ঝগড়া চায় না, মিটমাট চায়। আধ্যাত্মিকতা হিসাবে ইহার কতকগুলি গুণ উচ্চ-স্তরের, কিন্তু অনেক সময়ই সেগুলি জড়তা বা ভয়ের ছদ্মবেশ । মুসলমান সমাজে এখনও সতেজ ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অভাব হয় নাই, উপস্থিত হায়-অন্তায়ের প্রশ্ন এড়াইয়া তাহারা মৃত্যুর বিভীষিকায় অভিভূত হইয়া পড়ে না। যে-কথাগুলি একবার উদ্ধৃত করিয়াছি তাহাই পুনরায় উদ্ধত করিয়৷ তৎপ্রতি আপনাদের দৃষ্টি বিশেষ করিয়া আকৃষ্ট করিতেছি— “যার লগে ঝগড়া লাগে যেন যমে ধরে টানে, গিরস্থালি করিয়া তাদের দিন যায়। চুরিদারি মিছাবাদের ধারে নাহি যায়। বিপদে পড়িলে কেউ দোস্তের দোসর ॥ আপন পর জ্ঞান নাই পড়ে তার উপর । , বান্দরামি নষ্টামি কেউ করিলে তাদের সনে। উচিত মত শিক্ষা দেয় দেখে ত্রিভুবলে । গোড়া ল্যাংড়া দেখলে তার বড় দুঃখ পায়। বেশী করে ধান-চাল তাদের বিলায়।” সেরূপ ধান-চাল বিলাইবার লোক দয়ার্দ্র হিন্দু-সমাজে অনেকে আছেন, কিন্তু জগতে টিকিয়া থাকিবার জন্ত যে তেজ দরকার, সেই দুষ্টের