পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s >& প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান سے -----می مہم مے ی* যাহাদের আছে, তাহারা অশিক্ষিত বলিয়া আমরা ঘৃণা করি এবং যেমন করিয়া তাহাদিগকে ঘৃণার সহিত সমাজের বাহিরে রাখিয়াছি, তেমনই তাহাদের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব জ্ঞান অগ্রাহা করিয়া আমাদের লেখায় তাহাদের কোন কথা দিতে কুষ্ঠিত হই । যে-সকল জাহাজের নাম ও স্থানের নামের সঙ্গে আমাদের দেশের শিশুদেরও পরিচয় থাকা উচিত, আমাদের দম্ভোলি, ইরম্মদ, একদসু্যপবাস প্রভৃতি সংস্কৃত শব্দ-বহুল অতিকায় বাঙ্গলা অভিধান খুজিলে তাহাদের একটির নামও পাওয়া যাইবে না। স্থানে স্থানে কবি দুটিছত্রে তাহার কবিত্বের পরিচয় দিয়াছেন। একটি অধ্যায়ের মুখবন্ধ-স্বরূপ তিনি যে চরণ দুইটি লিখিয়াছেন তাহা এই— “মন কুইলার ছাও-ওরে মন কুইলার ছাও। কোন্নে তুমি চিনি লৈলা দইনালী বাও।” “রে মন কোকিলের ছানা, তুই দক্ষিণ হাওয়া কি করিয়া চিনিলি ?” কোকিলের ছানা দক্ষিণ হাওয়া বহিলেই কুহু কুহু করিয়া উঠে। ১৪। রঙ্গপুর ঘোড়াঘাট নিবাসী হায়াৎ মামুদ আস্তিয়ার বাণী’ নামক একখানি বৃহৎ কাব্য ১৭৫৭ খৃষ্টাব্দে রচনা করেন, সেই বৎসর পলাশীর যুদ্ধের বৎসর। এই পুস্তকের একখানি প্রতিলিপি ১৮৪৭ খৃষ্টাকে করিমুল্লা নামক এক লেখক তৈরী করেন। সুতরাং গ্রন্থ রচনার প্রায় ১০০ শত বৎসর পরেও ইহা নকল করিবার প্রয়োজন হইয়াছিল । পথিখানি শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্র সেন সংগ্ৰহ করিয়াছেন, পত্র সংখ্যা ১১০ ৷ স্বষ্টিতত্ত্ব সম্বন্ধে এই পুস্তক লিখিত হইয়াছে, ইহাতে আদম ও ইভের বৃত্তান্ত, শয়তানের ছলনা, মহা-প্লাবন ও নোয়ার তরণী প্রভৃতি পুরাতন 'টেষ্টামেণ্টের কাহিনী ছাড়া জগৎ-উৎপত্তির যেসব বর্ণনা আছে, তাহার হয়ত কতক কতক মুসলমানী শাস্ত্র হইতে কবি সংগ্ৰহ করিয়া থাকিবেন।