পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান >సె দেশ যে-পৰ্য্যন্ত পম্পিয়াই নগরের ন্তায় রসাতলে না যাইবে, ততদিন এই কিঞ্চিয়,নি দশ কোটা লোক বাঙ্গালীই থাকিবে। এই মহাসাগরে হিন্দু মুসলমান, জৈন, বৌদ্ধ, খৃষ্টান মিশিয়া গিয়াছে। আপনার আমার উপরে বিরক্ত হইবেন না। আমার পরবর্তী বক্তৃতায় আশা করি প্রমাণ করিতে পারিব, হিন্দু ও মুসলমান-কৃত বঙ্গসাহিত্যে এই এক জাতীয়ত্ব এত স্পষ্টরূপে ফুটিয়া উঠিয়াছে যে, সে সম্বন্ধে আর কাহারও কোন সন্দেহ থাকিবে না । তৃতীয় পরিচ্ছেদ মুলি-বিজয়ের প্রাক্কালে খৃষ্টীয় দশম ও একাদশ শতাব্দীতে বাঙ্গালার ইতিহাসের প্রচ্ছদপটে এক মস্তবড় সাধুর মূৰ্ত্তি অঙ্কিত দেখিতে পাই—ইনি গোরক্ষনাথ । ইহার বাড়ী পাঞ্জাবে ( জলন্ধর ) ছিল ; কিন্তু ইহার গুরু মীননাথ বঙ্গদেশবাসী ছিলেন । এইজন্ত গোরক্ষনাথের বহু শিষ্য উত্তর-পশ্চিমে, এমন কি দাক্ষিণাত্যে থাকিলেও, ইহার অন্ততম শ্রেষ্ঠ কৰ্ম্মক্ষেত্র ছিল বাঙ্গালা। ইনি হঠযোগী ছিলেন এবং ইহার জীবন-চরিত ‘গোরক্ষ-বিজয়’-এ ইহার অনেক অলৌকিক লীলা বর্ণিত আছে। ইনি চিরকুমার ও চিত্ত-সংযমী ছিলেন। এমন কি কথিত আছে, ভগবতী স্বয়ং নানারূপ প্রলোভন দ্বারাও ইহাকে টলাইতে পারেন নাই। শিশুর মত সরল, অথচ বীরের মত দৃঢ় এই গোরক্ষনাথের গুরুভক্তি ছিল অসাধারণ । মীননাথ যখন স্ত্রীলোকের প্রলোভনে মুগ্ধ হইয় অধঃপতনের সীমান্ত-গহবরে পতিত হন, তখন গুরুর এই অবস্থা দর্শনে ব্যথিত হইয়া গোরক্ষনাথ তাহার উদ্ধারার্থ