পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२b” প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে যে, সুফীমতের সঙ্গে সহজ ও নাথ-পন্থীদের মতের অনেক ঐক্য আছে। সুফীরা গুরুর উপর অটল ভক্তিমান, নাথ-পন্থী ও সহজিয়ারাও তাহাই । সুফীর স্ত্রীলোকের রূপক দিয়া ঈশ্বরের নিকট র্তাহাদের প্রেম নিবেদন করেন, সহজিয়াদের মতও সেই রূপ। সহজিয়া বৈষ্ণবেরা এখনও কোন কোন স্থলে স্ত্রীলোকের বেশ ভূষা পরিয়া রমণী-রূপে ঈশ্বরকে ভজনা করেন। এখনও নবদ্বীপে ললিতাসখী তাহার বিস্তর অনুচরের সহিত কৃষ্ণকে ভজনা করিতেছেন। তাহার সর্বাঙ্গে স্ত্রীলোকোচিত অলঙ্কার এবং মাথায় ঘোমটা এবং তিনি পুরুষ দেখিলে ব্রীড়ানতা হইয়। মুখ ঘোমটায় আবৃত করিয়া সরিয়া যান। স্ত্রীলোকের মতই তিনি মৃদুভাবে কথা বলেন । তিনি চোখে-মুখে স্ত্রীলোকের ভাব এরূপ নিখুত ভাবে প্রকটিত করেন যে, তাহাতে কাহারও বুঝিবার সাধ্য নাই যে, তিনি পুরুষ । ইহার নাম হরিমোহন চক্রবত্তী, বাড়ী ঢাকা জেলার ধামরাই গ্রামে । আমরা আর একজন রমণীবেশী পুরুষ সাধককে জানি, এখন ইহার বয়স নব্বই বৎসর। হাতে বালা ও চুড়ি, কণে ফুল, গলায় হার, মাথায় ঘোমটা,—এইভাবে নারীবেশে তিনি ভগবানকে ভজনা করিতেছেন। একদা আদালতে তাহাকে হাজির হইতে হইয়াছিল। তাহাকে উকিলেরা জিজ্ঞাসা করিলেন— আপনি পুরুষ হইয়াও এরূপ অদ্ভুত আচরণ করিতেছেন কেন ?” তিনি বলিলেন– “স্ত্রী-সুলভ কোমলতাই ভক্তির বিশেষ উপযোগী। ভগবান যেভাবে প্রীত হইবেন, তাহা আমি যেরূপ বুঝিয়াছি, সেইরূপ অঙ্গসজ্জা করিয়া আমি তাহুরই জন্ত প্রস্তুত হইয়া থাকি।” এই কথায় নিউম্যানের উক্তি মনে পড়ে :– “If thy soul is to go on into higher spiritual blessed-ness, it must become a woman ; yes, however