পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান \כס একটি পল্লী-গীতিকা আছে। * বগুড়ায় ইনি সৰ্ব্বপ্রথম ইসলাম প্রচার করেন। তথায় তিনি একটি মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। মখড়ম্ শেখ জালালুদিন তব রীজী লক্ষ্মণ সেনের সভায় উপস্থিত ছিলেন । হলায়ুধের শেখ শুভোদয়া গ্রন্থে ইহার সম্বন্ধে অনেক কথা আছে। + ইহা ছাড়া আরও কয়েকজন সুফী-সম্প্রদায়ের লোক মুসলমান-বিজয়ের পূৰ্ব্বে এদেশে আসিয়াছিলেন । এই সকল সুফী-নেতারা হিন্দু-রাজত্বকালে তাহাদের ধৰ্ম্ম প্রচারের বিশেষ সুবিধা পান নাই । ডক্টর এনামুল হক্‌ লিখিয়াছেন, —“নান কারণে চহারা সুফী-মতকে বঙ্গে প্রতিষ্ঠা দিতে পারেন নাই ।” কিন্তু পরবত্তী স্বফী-গুরুগণ ধৰ্ম্ম প্রচারে অনেকটা কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন, তন্মধ্যে কয়েকজনের নাম এখানে উল্লেখ করিতেছি—১। সিরাজুদিন বদায়ুনী ( ১৩৫৭ খৃ: ) ইহার কৰ্ম্মক্ষেত্র ছিল গৌড় ; ২। মুরুদ্দিন কুতুব-ই-আলাম ( ১৪১৫ খৃঃ), গণেশের পুত্র যছ ইহার দ্বারা ইসলাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন ; ৩ । সফিউদ্দিন শহীদ ( ১২৯৫ খৃঃ), ইনি পাণ্ডুয়ার পাণ্ডু-রাজাকে পরাস্ত করিয়া সেই দেশে ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন ; ৪ । শাহ ইসলাম ঘায়ী উত্তর-বঙ্গে মুসলমান ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন ( ১৪৭৪ খৃ: ), ৫ । শাহ জালাল মুজররদ-ইয়মনী ১৩৪৬ খৃঃ অব্দে শ্ৰীহট্টে দেহরক্ষা করেন এবং তাহার শিষ্য মুজসিন আউলিয়া চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন।

  • ‘পুৰ্ব্ববঙ্গ গীতিকা ৪র্থ পণ্ড ২য় সংখ্যা ৪৫—৭ • পৃষ্ঠা দেখুন।

‘বৃহৎ বঙ্গ’ ৭১৩-১৬ পৃঃ দ্রষ্টব্য ।