পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান শিঞ্জিত নদদ্বীপে চলিয়৷ গেল। কথিত আছে—যাত্র-পথে নৌকা ডুবি হইয় তাহার মৃত্যু হয়। কঙ্কের সত্যপীরের কথা বা ‘বিদ্যাসুন্দর কাব্যের মাজ্জিত রুচি ও কবিত্ব আমাদিগকে মুগ্ধ করে। এই পুস্তক চৈতন্ত-প্রভূর সমসাময়িক এবং পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি ইহা সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন বিদ্যাসুন্দর’ । পুস্তকখানি ছাপ হয় নাই। কিন্তু পুথি আমার নিকট আছে। সত্যপীরের কাহিনীর ভূমিকায় কঙ্ক নিজ জীবনের যে ইতিহাস লিখিয়াছেন, তাহার সহিত রঘুস্থত প্রভৃতি কবি রচিত কঙ্ক-জীবনীর সঙ্গে সকল বিষয়েই ঐক্য দৃষ্ট হয়। আত্মচরিতটি অবশ্য সংক্ষিপ্ত। মুসলমান পীরের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করার ফলে এবং স্বয়ং জাতিবৈষম্য-জনিত নাম। দুঃখের ভুক্তভোগী হইয় এবং গর্গের মত মহামনা সাধু পুরুষের সংসর্গে তাহার চিত্তের যে উদারত হইয়াছিল, তাহ বিদ্যাসুন্দর'-এর ভূমিকায় স্থচিত হইতেছে। ইনি তাহার চণ্ডালিনী মাতা কৌশল্যার পায়ে যেভাবে প্রণতি জানাইয়াছিলেন, কোন ব্রাহ্মণ-পুত্র সেইরূপ করিতে পারিতেন কিনা সন্দেহ । বহু কবি সভ্যতাপীর, মাণিকপীর প্রভৃতি সম্বন্ধে পাচালী লিখিয়াছেন, ইহাদের শ্রোতা হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে অসংখ্য । ইহার ইতিহাস দিতে গেলে এই সন্দর্ভ অতিকায় হইয় পড়িবে। এই সকল কাব্য হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে প্রীতির সেতু-স্বরূপ এবং ইহার। উভয় সম্প্রদায়ের নিকট আদৃত হইয়া আসিতেছে !