পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ヶ প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান প্রাচীন সম্পদের সন্ধান পাইতেছি। মুসলমান ধৰ্ম্ম পরিগ্রহের পরে যে সকল উপাখ্যান হিন্দু মা ও দিদিমাদের দ্বারা গৃহীত হইয়াছে, সেই সকল পৌরাণিক উপাখ্যান, যথা—ব্রুব-চরিত্র, প্ৰহলাদ-চরিত্র, পঞ্চ-পাণ্ডবদের কীৰ্ত্তি মুসলমানগণ গ্রহণ করেন নাই। মুসলমানগণ পূৰ্ব্বযুগের কথা-সাহিত্য এখনও বিস্তৃত হইতে পারেন নাই, কারণ র্তাহারা জননীর আঙ্কে বসিয়া বহু শতাব্দী যাবৎ তাহ শুনিয়া আসিতেছেন । মৃত্যুকম্ভা মালঞ্চমাল, কাজলরেখা, কাঞ্চনমালা প্রভৃতি বৌদ্ধ-যুগের রূপকথা এখন পর্যন্ত মুসলমান-পল্লীতেই প্রচলিত। দক্ষিণারঞ্জণের “ঠাকুরদাদার ঝুলি’ বাহির হইবার বহু পূৰ্ব্ব হইতে ঐগুলি কতকট পরিবষ্টিত আকারে মুসলমানী প্রেস্ হইতে ছাপা হইয়! আসিতেছে । এই বৃহৎ কথা-সাহিত্য এখন খুঁজিবার বিষয় । নব ব্রাহ্মণ্য-শাসিত রাঢদেশ অপেক্ষ বৌদ্ধাদশে গড়া পূৰ্ব্ব ও উত্তর বঙ্গেই এই সকল রূপকথার সন্ধান বেশী মিলিতেছে। জনসাধারণ অনাচরণীয়, তাহার সংস্থত ভাষায় অনভিজ্ঞ। তাহারা রাজদরবারে ঢুকিবে কিরূপে ? খুব সম্ভব নানাভাবে উৎপীড়িত হইয়৷ তাহারা সেন-রাজাদের প্রতি বিদ্বিষ্ট হইয়াছিল। এইজন্ত বিজয়সেন, বল্লালসেন, লক্ষ্মণসেন বা বিশ্বরূপসেন সম্বন্ধে একটি ছড়াও নাই এবং র্তাহাদের সম্বন্ধে কোন উল্লেখ প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে নাই বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না। অপিচ এই নিৰ্য্যাতিত জনসাধারণের চিত্তে যে, বিক্ষুব্ধ বারিধির ন্যায় বিদ্বেষ পুঞ্জীভূত হইয়াছিল, তাহ নিরঞ্জনের রুষ্যায়” স্পষ্টভাবে ব্যক্ত হইয়াছে। কোন বিদেশী-শক্তি দেশের সঙ্ঘবদ্ধ চেষ্টার নিকট বহুকাল দাড়াইতে পারে না। বঙ্গে হিন্দু রাজত্বের অবসান হইল এবং ইসলামের বিজয়-কেতন উড্ডীন হইল। কিন্তু একটিও স্মরণীয় যুদ্ধ হইল না। পরন্তু ইসলামকে জনসাধারণের একাংশ ঈশ্বরের আশীৰ্ব্বাদ বলিয়া গ্রহণ করিল। সেন-রাজত্বে র্তাহাদের অধিকৃত নব ব্রাহ্মণ্যে-দীক্ষিত