পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান পাঠান-গৌড়েশ্বরের সভায় গান গাহিবার জন্ত চণ্ডীদাসের নিমন্ত্রণ হইয়াছিল। যশোরাজ খ৷ তদীয় বাঙ্গলা গীতিতে--"শাহ হুসেন জগত-ভূষণ' —বলিয়া সম্রাট্‌ হুসেন শাহের বন্দনা করিয়াছেন। বিদ্যাপতি—"প্ৰভু গায়সউদ্দিন মুলতান’—বলিয়া উক্ত সম্রাটের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাইয়াছেন এবং— “সে যে নাসির শাহ জানে, যারে হানিল মদন বাণে, চিরঞ্জাব রন্থ পঞ্চ গৌড়েশ্বর, বিদ্যাপতি ভণে ।” এই পদে নসিরা শাহের প্রতি প্রীতি নিবেদন করিয়াছেন। কবীন্দ্র পরমেশ্বর-—‘কলিকালে হরি হৈল কৃষ্ণ অবতার’—বলিয়। হুসেন শাহকে বর্ণনা করিয়াছেন এবং বিজয়গুপ্তও এই রাজাকে—‘সনাতন হুসেন শাহ নৃপতি-তিলক’—বলিয়। উল্লেখ করিয়াছেন। পাঠান-রাজ শামসুদিন ইউসুফ ভাগবতের অনুবাদক মালাধর বসুকে ‘গুণরাজ’ উপাধি দিয়া সম্মানিত করিয়াছিলেন— ‘অজ্ঞান অধম মই নাহি কোন জ্ঞান। গৌড়েশ্বর দিল নাম গুণরাজ খান ॥” হুসেন শাহের পুত্র নসরত শাহের অনুজ্ঞাক্রমে একখানি বাঙ্গলা মহাভারত সঙ্কলিত হইয়াছিল। কবীন্দ্র পরমেশ্বর তাহার উল্লেখ করিয়াছেন— - “শ্ৰীযুক্ত নায়ক সে-যে নসরত খান। রচাইল পঞ্চালী যে গুণের নিধান ॥” হুসেন শাহের সেনাপতি পরাগল খ। কবীন্দ্র পরমেশ্বরকে দিয়া যে মহাভারত বাঙ্গলায় সঙ্কলিত করাইয়াছিলেন, তাহার কথা আপনার অনেকেই জানেন। সাধারণত: এই মহাভারতখানি 'পরাগলী মহাভারত’ নামে পরিচিত ।