পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান © ? আদেশে ১৬৬৮ খৃঃ অব্দে রচনা করেন । ইহা ছাড়া তিনি 'হগুপযুকর” ‘তোহফা ( তত্ত্বোপদেশ ) ১৬৬২ খৃষ্টাব্দে এবং সৰ্ব্বশেষ “সেকেনারনাম।” রচনা করেন ১৬৭১ খৃষ্টাব্দে। চট্টগ্রাম জেলার জোব রা গ্রামে এখনও কবির বাসভূমি আছে। সেই পল্লীতে র্তাহার বংশধরেরা এখনও বাস করিতেছেন ; তথায় কবির কবর ও দীঘি এখনও বর্তমান। " .. = ~ কবি আলোয়ালের ‘পদ্মাবতী’ কাব্য রচনার কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে, ১৬৫৯ খৃষ্টাব্দে কবি দৌলত কাজি চট্টগ্রাম রাউজান থানার অন্তর্গত সুলতানপুর নিবাসী আরাকানের সমর-সচিব কাজি আশরাফ খার আদেশে ‘লোর চন্দ্রানী’ নামক কাব্য রচনা করেন। লোর নামক কোন প্রণয়ী রাজকুমার— বামন নামক বলদপিত, নপুংসক, বৌদ্ধরাজের রাজ্ঞী চন্দ্রানীর প্রেমে পড়িয়া যান। চন্দ্রানীও তাহার স্বামীর অপরাপর গুণ থাকা সত্বেও পুরুষত্বের শক্তি না থাকাতে র্তাহাকে অগ্রাহ করিতেন। এই প্রেমব্যাপার-প্রসঙ্গে ‘লোর-চন্দ্রানীর বিষয়-বস্তু কবিত্বময় হইয়া উঠিয়াছে। ইহার রচনার নমুনা এইরূপ— “কি কহিব কুমারীর রূপের প্রসঙ্গ। অঙ্গের লীলায় যেন বাiন্ধছে অনঙ্গ ॥ কাঞ্চন-কমল-মুখে পূর্ণশশী নিন্দে। অপমানে জলেত প্রবেশে অরবিন্দে ॥ চঞ্চল যুগল আঁখি নীলোৎপল গঞ্জে। মৃগাঙ্কশরে মৃগ পলায় নিকুঞ্জে ॥ মদন-মঞ্জরী ভুরু কিবা শরাসন। লুকি গেল পুষ্প ধনু লজ্জার কারণ ॥ পুষ্পশর জিনি নাশ৷ শোভে বিদ্যমান। লজ্জায় রহন্ত লুকি’ যত কামবান ॥