পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান অধর বাধুলী-রুচি, কত মধু ভাষে । সুকুন্দ দশন পাতি মুকুতা প্রকাশে ॥ ঘনচয়-রুচি কেশ শিরেত শোভন । প্রভা ছাড়ি ভানু যেন তিমির বরণ ॥ সুবৰ্ণ কণিকা কর্ণে মাণিক্য নূপুরে। দোসর অরুণ দোলে চন্দ্রমার কোরে ॥ নিৰ্ম্মল রাতুল অঙ্গ কেতকী সমান। ভরমে ভ্রমর-পাতি ধরএ যোগান ॥” দৌলত কাজি মহাভারতকার কাশীরাম দাসের প্রায় সমসাময়িক । কিন্তু কাশীরাম দাস অপেক্ষাও কাজি সংস্কৃতাত্মক ভাষায় কাব্য রচনা করিয়াছেন । আরাকান রাজদরবারের আশ্রিত মুসলমান কবিরাই যে বঙ্গভাষার সংস্কৃতাত্মক রচনার যুগ-প্রবর্তন করেন, তাহু! এই সকল দৃষ্টান্তে প্রতিপন্ন হইতেছে। দৌলত কাজি ১৬৩৭ খৃষ্টাব্দে তাঙ্গর সতী ময়না’ রচনা করেন । সম্ভবতঃ অল্পবয়সেই তাহার মৃত্যু হয়। ইনি রাজা সুধম্মার রাজত্বকালে বৰ্ত্তমান ছিলেন । কবি আলোয়াল তাঙ্গার আশ্রয়দাতা মাগন ঠাকুর সম্বন্ধে লিখিয়াছেন— “আরবী, ফারসী আর মঘী, হিন্দুস্থানী। নানা গুণ পারগ, সংগীত-জ্ঞাতা গুণী ॥ কাব্য-অলঙ্কার জ্ঞাত হস্তেক নাটিকা । শিল্প-গুণ, মহৌষধি নানাবিধ শিক্ষা ॥” মাগন ঠাকুর নিজেও একজন তৎকাল-প্রসিদ্ধ কবি ছিলেন। র্তাহার রচিত ‘চন্দ্রাবতী একখানি উল্লেখযোগ্য বাঙ্গল কাব্য। কবি আরাকানের বৌদ্ধরাজ শ্ৰীচন্দ্র স্বধৰ্ম্মার (১৬৫২-- ১৬৮৪ খৃঃ অঃ ) প্রধান মন্ত্রী ছিলেন । ইহার মুসলমানী নামটি পাওয়া যায় নাই, কিন্তু ইহার পিত