পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ বাংলা ভাষার সার্বভৌমক ও গল্পীসাহিত্যের ভাব-গম্ভীরতা কবি আলোয়াল হিন্দুস্তানী ভাষা হইতে ‘পদ্মাবতী অনুবাদ করিয়াছিলেন । দৌলত কাজি ১৬২২ হইতে ১৬৩৮ খৃঃ মধ্যে গোহারী দেশের ‘ঠেঠ হিনী ভাষায়’ সাধন নামক কবি-রচিত একখানি কাব্যের অনুবাদ প্রণয়ন করেন, ইঙ্গাই তাহার ‘সতী ময়না । দৌলত কাজির আশ্রয়দাত আশরাফ খা কবিকে আদেশ করিয়া বলিলেন – “ঠেঠ চৌপাইয়া দোহা কহিল সাধনে । না বোঝে গোহারী ভাষা কোন কোন জনে ॥ দেশী ভাষে কহ তাকে পাঞ্চালীর ছন্দে। সকলে বুঝিয়া যেন পড়এ সানন্দে।” মাগন ঠাকুরও এই যুক্তি দেখাইয় আলোয়ালকে হিন্দী ভাষা হইতে ‘পদ্মাবৎ দেশী ভাষায় তজ্জমা করিতে আদেশ করিয়াছিলেন। ইহা ছাড়া আরাকান রাজসভার এই সকল কবির আরবী, ফারসী হইতে বহু গ্ৰন্ত বাঙ্গলা পয়ারে অনুবাদ করিয়াছিলেন। ইহা দ্বারা একথাটা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, শ্ৰীহট্ট ও আসাম, ত্রিপুর, কোচবিহার, মণিপুর হইতে নাফ নদীর তীরবর্তী আরাকান প্রদেশ পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বত্র বাঙ্গলা ভাষা ‘দেশী ভাষা’ আখ্য। প্রাপ্ত হইয়াছিল। আরাকানের বৌদ্ধ-রাজারা এই ভাষায় নানা ভাষা হইতে কাব্যাদির অনুবাদ করাইয়া ভারতবর্ষের ভাষাগুলির মধ্যে বাঙ্গলা ভাষাকে সাৰ্ব্বভৌমিকত্ব দিতে প্রয়াসী